মায়ের লাশ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট অনুমতির অপেক্ষায় মরিয়ম

মা
  © সংগৃৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামে লাশ উদ্ধারের পর দাফন হওয়া অজ্ঞাত নারীর লাশ নিজের মা রহিমা বেগমের বলে দাবি করেছেন খুলনার দৌলতপুরের মরিয়ম মান্নান।

তবে উদ্ধারকৃত লাশের পোশাক দেখে মরিয়ম নিশ্চিত হতে পারেননি সব পোশাক তার মায়ের কী না। তাই মরিয়ম মান্নান মায়ের লাশ শনাক্ত করতে এখন আদালত কর্তৃক ডিএনএ টেস্ট অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।

আগামীকাল রবিবার তার আবেদন আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার মহেশ্বরপাশার নিজ বাসার দু’তলা থেকে নিচে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম (৫৫)। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় মাকে খুঁজে ফিরছিলেন তারা। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরিয়ম জানতে পারেন যে, ফুলপুর থানায় তার নিখোঁজ মায়ের মতো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ফুলপুর থানার ওসির সাথে মোবাইলে কথা বলে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় যান। এ সময় তার সাথে ছিলেন বড়বোন কানিজ ফাতেমা, মাহফুজা আক্তার, আদরী, চাচাতো ভাই রুম্মান, ভাবী ও ভাইপো।

ঢাকা তেজগাঁও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় এসে তার মায়ের পায়জামা দেখে শনাক্ত করেন যে, এটাই তার মা রহিমার পায়জামা।

আজ শনিবার বিকালে মরিয়ম মান্নানের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যে আলামত পেয়েছি এতে আমি নিশ্চিত যে এটাই আমার মায়ের লাশ। 

তিনি আরও বলেন, এরপরও পুলিশ বলছে ডিএনএ টেস্ট করাতে। ওই টেস্টের জন্য আমি আবেদন করেছি। এখন আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় আছি। 

ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আগামীকাল রবিবার আমরা আদালতে ডিএনএ টেস্টের জন্য অনুমতি চাইবো। আদালত অনুমতি দিলে তাৎক্ষণিক মরিয়মকে জানাবো। 

মরিয়ম বলেন, আদালতের অনুমোদন পেলেই আবারও ময়মনসিংহে আসব। এ সময় তিনি আরও বলেন, ফুলপুর পর্যন্ত আসতে আমাকে পুলিশ, র‌্যাব-১৪ ও পিবিআই সহযোগিতা করেছেন। 

বিশেষ করে তিনি পিবিআইয়ের এসপি রকিবুল আক্তারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উনার নির্দেশে পিবিআই ইন্সপেক্টর দেলওয়ার হোসেন, সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ ও সাব ইন্সপেক্টর খাদেম মাহমুদ আমার সাথে ছিলেন। এছাড়া তিনি সাথে থাকা র‌্যাব-১৪ -এর একটি টিম ও ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ওসি তদন্ত আব্দুল মোতালিব চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

প্রসঙ্গ, গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুরের বওলা পূর্বপাড়ার একটি গোরস্তান থেকে অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে ১২ সেপ্টেম্বর মরদেহটি কাজিয়াকান্দা কামিল মাদ্রাসা গোরস্তানে দাফন করা হয়।