একটি রাজনৈতিক পক্ষের স্বার্থসিদ্ধি করছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ঢাবি
  © লোগো

মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস একটি রাজনৈতিক পক্ষের স্বার্থ-সিদ্ধি করছেন বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এটাকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের শিষ্টাচার বজায় রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। 

বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানানো হয়। এতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সাথে সম্পর্কিত একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি সমর্থিত ‘মায়ের ডাক’ নামক একটি সংগঠনের আহ্বানে ২০১৩ সালে একজন বিশেষ ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ শুনতে ঢাকা শহরের একটি বাড়িতে উপস্থিত হন। একই সময়ে খবর পেয়ে ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠনের কর্মীরা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তাকে অবহিত করার জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। তাদের কথা শুনতে অপারগতা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দ্বৈত আচরণের বহিঃপ্রকাশ, যা দুঃখজনক।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের কূটনীতিকগণ যেভাবে বক্তব্য রাখছেন ও অংশগ্রহণ করছেন তা দৃষ্টিকটু ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। পরিতাপের বিষয় হলো, পশ্চিমা দেশগুলো যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের স্বঘোষিত খুনি ও একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সর্বদা সোচ্চার বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত হত্যা, ৭১-এর গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং বিভিন্ন সামরিক শাসনামলে হত্যা ও গুমের ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার দাবি করেন তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্যের দাবিও জানানো হয়।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ