ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যা মামলার রায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৫ জনের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৫৫ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:০৯ PM

সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে খুন করা হয়। এই খুনের দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকা মহানগর আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে তাদের।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫- এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা আসামীরা হলেন— বাবুল ওরফে চায়না বাবুল, বাবু, খায়রুল বাশার, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত এবং সুমন ওরফে পাতলা সুমন।
আরো পড়ুন প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে ঢাবিতে ভর্তি হলেন অঙ্কিতা
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— আলম, সোহেল, মামুন, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ এবং উজ্জল। উক্ত আদালতের সাঁটলিপিকার সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন বাবাভক্ত ঢাবিছাত্র সেই ওসমানকে ডেকে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসা থেকে বিপুকে ডেকে নিয়ে যান বাবু। এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার গৃহকর্মী বাসায় এসে জানান, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা 'চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়'- বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।