ববিতে কীর্তনখোলা ফিল্ম সোসাইটির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কীর্তনখোলা ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ‘আমার গল্প আমার সিনেমা’ স্লোগানে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শর্ট ফিল্ম উৎসব ২০২২ এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ আয়োজন করা হয়।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন তরুণ নির্মাতা তাদের নিজ চলচ্চিত্র ভাবনায় তৈরি করা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। সিনেমা গুলো হলো: নয়ান কর্মকারের ‘ক্যাকোফোনি’, মেহেদী হাসান মিঠুর “দ্বৈধ’, সাদিকা রহমান সেতুর ‘লিটল শোলস রোমিং অ্যারাউন্ড টি বিচ’, মুয়াজ বিন জাহিদের ‘নেই-নোবডি হেয়ার’, সৈকত দত্তের '‘টি এন্টিথিসিস’, মেহরাব আহমেদ জয়ের ‘পুঁরজন’, শাহরিয়ার ফাহিম তনুর ‘সূর্যাস্ত’, শাক‌ওয়াত শ্রাবণের ‘সিলেন্স’ এবং সীবাত আহমেদের ‘মহাসড়ক’।

আরও পড়ুন: পাবিপ্রবিতে জামালপুর জেলা সমিতির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কীর্তনখোলা চলচ্চিত্র সংসদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাতেমা তুজ জোহরা নদী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দিল আফরোজ খানম তানিয়া, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হওয়াকে স্বাগতম জানান এবং নির্মাতাদের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ ভাবনার কমিটমেন্ট নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। উপাচার্য চলচ্চিত্র উৎসব এর আয়োজনকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র এবং ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবসের কথা মাথায় রেখে কীর্তনখোলা চলচ্চিত্র সংসদকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আরও দারুন কিছু করতে হবে।

কীর্তনখোলা চলচ্চিত্র সংসদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাকিব হাসান রাফি বলেন, সিনেমা বহমান নদীর মতো। সামাজিক উন্নয়ন এবং সমাজ সংস্কারে সিনেমা একটি অনন্য শক্তি হিসেবে কাজ করে। 

কীর্তনখোলা চলচ্চিত্র সংসদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহি ইসলাম বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের চিন্তার প্রতিফলন ঘটায়। আমাদের ভাবনাকে একটা দৃশ্যমান রূপ দেয়, যা আরও নতুন চিন্তার ও সংস্কৃতির জন্ম দেয়। চলচ্চিত্রের এই রূপ নতুনদের হাত দিয়ে আরও দারুনভাবে পরিস্ফুটিত হয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র নির্মাণে, চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করায় আরও উদ্যোগী হবেন বলে আমরা আশা করি।