ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ, থানায় মামলা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৪৫ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৭ PM

সম্প্রতি রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এক দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির পর তাদের কাছে থাকা ২২ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী দম্পতির মামা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোতালেব। বিষয়টি তিনি বাংলাদেশ মোমেন্টসকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম তাজওয়ার জয় ও তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাজিদ হোসেন। তারা দুজনই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সদস্য।
মামলার এজাহার বিশ্লেষণ জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই দম্পতিকে শহীদ মিনার এলাকায় ঘুরতে আসেন। এসময় জয়-সাজিদসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন তাদেরকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ, শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনার খবর পেয়ে মামলার বাদী মোতালেব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজের পরিচয় দেন। পরিচয় পাওয়ার পর তাকে ও তার ছেলেকেও মারধর করেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: স্পেনে যাওয়ার টাকা যোগাতে না পেরে আত্মহত্যা করে ফারদিন: চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল
এ বিষয়ে আব্দুল মোতালেব বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, ‘আমি দিনরাত ছাত্রদের জন্য কাজ করতেছি। আমার পরিচয় দিয়েছি এরপরও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তারা। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়েছি, আমার ভাগ্নি ও তার স্বামী ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কী শিখছে। ওই রাতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে আইনের দ্বারস্থ হতে পরামর্শ দেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করি।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘মামলাটি সোমবার গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’