মারধর-ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১০ AM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১০ AM

বাবা ও ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ২৫ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিম মোল্লা নামের এক ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক নাজমুল হাসান রুপু। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী। আরেকজন হলেন ফজলুল হক শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. তারেক। তিনি পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল করিম শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।
অভিযোগপত্র বিশ্লেষণে জানা যায় , ভুক্তভোগী, তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার এবং ছেলে ক্যানসারের রোগী রুবায়েত হাসান সায়েমসহ প্রাইভেটকার যোগে বাসায় ফেরার পথে শহিদুল্লাহ হলের পাশে তাদের বহনকৃত গাড়িটি বিকল হয়। এমন সময় অভিযুক্ত নাজমুল হাসান রুপু, তারেকসহ ১০ থেকে ১৫ জন এসে ভুক্তভোগীকে রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করেন। এসময় ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা,গাড়ির চাবি ও লাইসেন্স ছিনিয়ে নেয়ার পর তার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ঢামেক থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নাজমুল হাসান রুপু বলেন, যে অভিযোগটা দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা দুইটা রিক্সাকে ধাক্কা দেয়। রিক্সাতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে যায়। দুটি রিক্সায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় তারা চলে যেতে চাইলে হলের ছোট ভাইয়েরা তাদেরকে মারধর করে। তখন আমরা গিয়ে মিমাংসা করে জরিমানা নিয়ে দিয়েছি। এখন শুনছি আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এভাবে হলে তো মানুষের উপকারও করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসির পাশের হার ৮৭.৬২
আরেক অভিযুক্ত তারেক বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, গতকাল রাতে প্রাইভেটকারটি দুইটা রিক্সাকে ধাক্কা দেয়। একজনের রিক্সা ভেঙ্গে যায় আরেকজনের পা কেটে গেছে। হলের কিছু ছেলেরা মারতে চাইলে আমরা বাধা দিই। পরে ক্ষতিপূরণ হিসেবে উনারাই টাকাটা দিয়ে গেছে। আর আজ ঘুম থেকে উঠে শুনি, আমাদের নামে অভিযোগ দিয়েছে যে আমরা উনাদের থেকে ছিনতাই করে টাকা পয়সা রেখে দিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল করিম শয়ন বলেন, ‘যারা এসব চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।’
শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যেই হোক না কেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ওসি মহোদয়ের সাথে কথা বলার পর আমরা মামলা নেব।