পালিত হচ্ছে ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’ দিবস

ক্যাম্পাস
পালিত হচ্ছে ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’ দিবস  © সংগৃহীত

এক বছর আগে যে জায়গাটিতে ছিল ময়লার স্তূপ, গত এক বছরে সেখানেই হাজারো বইপ্রেমীদের আড্ডায় মুখরিত থাকতে দেখা গেছে। ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’।

এবার বছর ঘুরে সেই ফেব্রুয়ারিতেই ‘বই হোক মুক্তির হাতিয়ার’ স্লোগানে প্রথবারের মতো ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন ফটকের উন্মুক্ত লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার সকালে লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রার মাধুমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকাল ৩টায় আলোচনাসভা, পলান সরকার সম্মাননা প্রদান ও উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা থেকে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজকরা জানান, দিবসটি উপলক্ষে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের ‘পলান সরকার সম্মাননা’ প্রদান করা হবে। 

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত থাকবেন।

দিবস পালনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে সৈকত বলেন, “উন্মুক্ত লাইব্রেরির এক বছর পূর্ণ হতে চলছে। আমরা এটাকে একটা দিবসে রূপ দিচ্ছি। উন্নত দেশগুলোতে রাস্তার দ্বারে বা পার্কের কোণায় বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে রাস্তার দ্বারে বই পড়া বা উন্মুক্ত লাইব্রেরির সংস্কৃতি নাই। আমরা সেই কালচারটা তৈরি করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, এখন মানুষের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন প্রয়োজন। উন্মুক্ত লাইব্রেরি চর্চাকে বেগবান করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”


মন্তব্য