অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে ঢাবির অভিযান, সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা 

ঢাবি
টিএসসি সামনে অবৈধভাবে বসা দোকানপাট উচ্ছেদের পরের চিত্র  © মোমেন্টস ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে বসা দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আশপাশের এলাকা, দোয়েল চত্বর এলাকা, কলাভবনে প্রক্টর অফিসের সামনে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে, ডাকসু ভবন, কার্জন হল, জগন্নাথ হলের সামনে, বইমেলার প্রবেশ গেট পুরোপুরি ফাঁকা। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের দোকানপাট সরাতে দেখা যায়। এর আগে এসব জায়গায় ভাসমান দোকানে সয়লাব ছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু টিএসসি এলাকাতেই ৩৮৬টি দোকান বসেছিল।

যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ভাসমান এসব অবৈধ দোকানপাট দেখে টিএসসিকে রাজধানীর গুলিস্তানের সাথে তুলনা করেছিলেন। তিনি দোকানপাট উচ্ছেদে ঢাবির অ্যাকশন নেয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।

Untitled design - 2023-02-23T165838-497বইমেলার প্রবেশ পথের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পর এখন পুরোপুরি ফাঁকা

এদিকে, প্রশাসনের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অভিযান শিক্ষার পরিবেশকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি একটি শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে সহায়তা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আর যাতে এসব অবৈধ দোকানপাট বসতে না পারে এজন্য প্রশাসনকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফ বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, এটা আসলেই একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, কোলাহল মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চাই। আর শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান থাকবে তারা যেন এ অভিযান অব্যাহত রাখেন।

আরো পড়ুন: ইবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীর পা ধরে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগের সেই নেত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আমরা বিশেষভাবে নজরদারি করবো কোনক্রমেই যাতে যত্রতত্র দোকান না বসে; এগুলো দিয়ে যাতে পরিবেশ বিনষ্ট না হয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়; এজন্য নানা ধরনের প্রয়াস আমরা নিবো। শিক্ষার্থী থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।