নোবিপ্রবির সালাম হল থেকে সাইকেল চুরি, চোর আটক
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২২ AM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২২ AM

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় এক চোরকে আটক করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মো. ইউনুস (১৩) নামের ওই চোরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে নেয় এই কিশোর।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই হলের ভেতরে যাতায়াত ছিল তার। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় চুরির সময় রাফি নামে আরো এক সহযোগী ছিল তার সাথে। তবে তাকে আটক করা যায়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের রবিউল ইসলাম খশরু বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ তারিখ) হলের বি-ব্লকের সিঁড়ির নিচে সাইকেলটি রেখেছিলাম। পরেরদিন (শুক্রবার) রাতে সাইকেলটি দেখতে না পেয়ে পরিচিত সবাইকে জানাই। কিন্তু সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সাইকেল না পেয়ে হলের প্রভোস্ট স্যারকে অবহিত করি। তাঁর সহযোগিতায় শুক্রবার হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা চোরকে শনাক্ত করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছবি সংগ্রহ করে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা চোরের পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে চুরির কথা স্বীকার করে নেয়। পরে আমরা তাকে স্যারদের কাছে সোপর্দ করি।
এছাড়াও আটককৃত কিশোরের কাছ থেকে গতমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে চুরি হওয়া ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাঈম এর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রড চুরি করার কথাও স্বীকার করেছে এই কিশোর।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, শিক্ষার্থীরা সাইকেল চুরির ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সাইকেল ছাড়াও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোবাইল ও রড় চুরির কথা সে স্বীকার করেছে। এসব চুরির সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওই কিশোরের পরিবারকে এ বিষয়টি জানিয়েছি। ভবিষ্যতে সে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ না করে সে সংক্রান্ত একটি মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। বয়স বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।