র‍্যাগিং বন্ধে ছাত্রলীগের ভূমিকা জিরো টলারেন্স : সাদ্দাম

ঢাবি
  © মোমেন্টস ফটো

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের ভূমিকা জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, র্য্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা ছাত্রলীগসহ সব ছাত্র সংগঠন যেমন জিরো টলারেন্স গ্রহণ করব, তেমনি কলেজ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে আর ছাত্র রাজনীতির ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হবে, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। 

আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।  

সাদ্দাম হোসেন বলেন, র‍্যাগিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের জন্য যে সমস্যাগুলো হচ্ছে এর কারণে সচেতনতামূলক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানাবো যে আপনারা বছরের একটি দিন ঠিক করুন যে দিনটিকে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ হ্যারাসমেন্ট, বুলিং, র‍্যাগিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করবে। আমরা মনে করি একটি দিনকে যদি সচেতনতামূলক প্রতিরোধ দিবস হিসেবে বেছে নিতে পারি তাহলে সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ আরো বেশি উন্নত হবে।

ছাত্রলীগের এ নেতা আরও বলেন, র‍্যাগিং একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি যেমন বিশ্বিবদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী অপরাধ, একইসঙ্গে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে এই বার্তাটি দিয়ে যেতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে চাই। নিপীড়ক যেই হোক, নিপীড়কের দলীয় যে পরিচয় থাকুক, যেই ক্ষমতার পরিচয় থাকুক, যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয় থাকুক, যেই পারিবারিক পরিচয় থাকুক না কেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের ইস্পাত দৃঢ় ন্যায়বিচারের লড়াইয়ের সামনে সব দম্ভই ভেঙে যাবে, সব প্রশাসনিক অসাড়তাই ভেঙে যাবে।

ইবির ঘটনা উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, এটি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের হৃদয়ে ছুঁয়েছে। আজকে ফুলপরীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা অভিবাদন জানাই, স্যালুট জানাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফুলপরী সহ অসংখ্য ফুলপরীর পক্ষে রয়েছে। যে সাহসিকতা ফুলপরী দেখিয়েছে, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার যে অদম্য স্পৃহা দেখিয়েছে, আমরা মনে করি, ফুলপরী বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের সত্যিকারের উত্তরসূরী। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, কেন্দ্রীয়, মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।