ঢাবিতে ইমপ্রুভমেন্ট ও ইয়ার গ্যাপধারীদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বহালের দাবিতে মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৩ PM

ইমপ্রুভমেন্ট ও ইয়ার গ্যাপধারীদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বহালের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মেডিকেল ভর্তিচ্ছু ইমপ্রুভমেন্ট ও ইয়ার গ্যাপধারী একদল শিক্ষার্থী।
আজ ৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি ) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, আগামীকাল ১০ মার্চ সকাল ১০ টায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রদানের ফলে দীর্ঘ এক বছর ধরে মেডিকেল প্রস্তুতি নেয়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। ফলে তারা এক হাজার টাকা দিয়ে ভর্তির আবেদন সত্ত্বেও পরীক্ষার এডমিট কার্ড উত্তোলন করতে পারেনি। ফলে নিজেদের অন্ধকার ভবিষ্যতের চিন্তা করে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের মতামত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর উপস্থাপন করেন।
কাজী নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হিম বলেন, আমাদের আগামীকাল ১০ মার্চ সকালে পরীক্ষা আমরা ইন্টারে ইয়ার গ্যাপ দিয়েছি কেউ খারাপ রেজান্টের জন্য কেউ বা অসুস্থতার জন্য, কারো বাবা-মা মারা গিয়েছে বলে। কারণ ছাড়া আমরা কেউ ইয়ার গ্যাপ দেইনি। কিন্তু পরে এক্সাম দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে দেখছি মেডিকেল এক্সামই দিতে পারবো না।
তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে আসা যাওয়া করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের জন্য হাজারো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। অনেকে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু পরবর্তীতে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তর ঘোষণা দেয় ইম্প্রুভমেন্ট ও ইয়ার গ্যাপ ধারীরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তাদেরকে এডমিট কার্ডও দেয়া হয়নি। আমাদের পরীক্ষায় বসে নিজেদের যাচাইয়ের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
আরেক শিক্ষার্থী আরমান হক অপু হলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পূর্ববর্তী নির্দেশনা ছাড়াই হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমাদের হাজারো শিক্ষার্থী এতদিন প্রিপারেশন নিয়ে বেকার পড়ে আছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিপারেশন নিলে একজন শিক্ষার্থী সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারে , সেখানে আমরা এক বছর পড়ে আমাদের মেডিকেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
আফিয়া জান্নাত তিশা বলেন, গত একটা বছর ধরে আমরা প্রিপারেশন নিয়েছি। এক হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করেছি কিন্তু আমাদের এডমিট কার্ডও দেয়া হয়নি। আমাদের একটি বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন! আপনারা সিট কমান, সেটা ভিন্ন কথা, আমরা পরীক্ষায় বসে চান্স না পাই সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু আমরা পরীক্ষায় বসার সুযোগ না দিয়েই তারা আমাদের এক বছরের কষ্ট, পরিশ্রমকে নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমাদের একটাই দাবি থাকবে ইম্প্রুভমেন্ট ও ইয়ার গ্যাপ থাকা সত্ত্ব্বেও যেনো আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়।