রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ চলছে, আহত ৩০

রাবি
স্থানীয়দের সঙ্গে রাবির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিনোদপুর গেটের সামনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে।

বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারে ঘটনার সূত্রপাত। পরে কথাকাটাকাটির জেরে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের বাইরে থেকে স্থানীয়রা এখনও ইট-পাটকেল ছুড়ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসের ভেতর পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন। 

ক্ষুব্ধ জনতা বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়েছেন। পেট্রোলবোমাও নিক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পেট্রোলবোমা, ককটেল মারছে। 

এতে স্থানীয়দের ইটের আঘাতে ২০ শিক্ষার্থীসহ ৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বা প্রশাসনকে আসতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশের নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন মোহাম্মদ নামে এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাস থেকে কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।


মন্তব্য