ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:১১ AM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:১১ AM

শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহ প্রদান ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনা অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৮টি ইভেন্ট, যেমন: নজরুল সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, দাবা, টেবিল টেনিস, উপস্থিত বক্তৃতা ও বিতর্ক ইত্যাদিতে মোট ২৪ জন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়া, এসময় একজন বিদেশি পর্যটকের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়৷ পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি ও অভিনয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে তাদের প্রতিভা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদ্য-বিদায়ী সদস্য অধ্যাপক মো. হামিদুল হক। এছাড়া অনুষ্ঠানে উক্ত বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও উপস্তিত ছিলেন।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উক্ত আয়োজনের সাথে যুক্ত সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কলাকুশলীদেরকে সাধুবাদ জানান। এছাড়াও তিনি অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও এ ধরণের আয়োজন নিয়মিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বসন্তকে বরণ করবে ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদ
অধ্যাপক মো. হামিদুল হক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই সময় গুলো শিক্ষার্থীদের মননে চির ভাস্মর হয়ে থাকবে। এছাড়াও তিনি নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ ও ভবিষ্যত কর্মজীবনে এমন আয়োজনের ভূমিকা নিয়েও আলোকপাত করেন।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, 'সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের মাঝেও ব্যাপক উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া এ আয়োজনকে ঘিরে বিভাগে একধরনের নতুন প্রাণসঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের বিভাগে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের মনন ও মেধা বিকাশে অনেক সহায়ক হয়। মানসিক বিকাশ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এ বিষয়গুলো বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে বলে আমি মনে করি।'
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ৮ জুন ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিভাগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শান্তি, সংঘর্ষ, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ বিভাগ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি এম. ফিল. এবং পিএইচ. ডি. ডিগ্রিও প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বিভাগটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থাসমূহের সাথে যৌথভাবে গবেষণার কাজ করে থাকে। প্রতি বছর এতে বিশেষ lecture series-এর আয়োজন করা হয়।