ইবি শিক্ষার্থীকে বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ইবি
  © ফাইল ফটো

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থীকে বৈধ সিটে থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১ এপ্রিল) হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীর নাম মাহাদী হাসান। সে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ও লালন শাহ হলের ৪২৮ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র। 

লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী তার আবাসিকতাপ্রাপ্ত কক্ষে বিগত কিছুদিন যাবত অবস্থান করছিলেন। গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মী সিদ্দিক এর মাধ্যমে তরুন, ফাহিম ফয়সাল ও রাজু তাকে হলে আসতে বলে। এ সময় ভুক্তভোগী ইফতার শেষ করে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফোন পেয়ে সে দ্রুত হলে চলে আসে। সেখানে পৌঁছে দেখতে পায় তার বই খাতা, তোশক, বালিস রুমের বাইরে করিডোরে পড়ে আছে। এসময় তাকে ৪২৭ নং কক্ষে যেতে বলা হয়। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত তরুণ, ফাহিম, রাজুসহ আরও একজন উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

বাইরে রাখা অভিযুক্তের তোষকপত্র

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়,  ভুক্তভোগী মাহাদী সালাম দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলে প্রথমে ফাহিম বলে তুই মাহাদী? ভুক্তভোগী তখন ‘হ্যা’ বলে। তারপর অভিযুক্তরা বলেন, তুই কোন কক্ষে থাকিস? ভুক্তভোগী বলেন, ৪২৮ আমার আবাসিক কক্ষ, আমি ঐ কক্ষেই আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অবস্থান করছি। তখন অভিযুক্ত ফাহিম বলেন, আগে কোথায় ছিলি? সে (ভুক্তভোগী) বলেন, ৩০৮ নং রুমে মেহেদী হাসান তানভীর-এর অতিথী হিসেবে ছিলাম। এখন আমার কক্ষ (৪২৮) বরাদ্দ হইছে আমি এখানেই থাকব। সে (ভুক্তভোগী) এটা বলার সাথে সাথেই অভিযুক্ত রাজু তাকে ধমক দিয়ে বলে তুই কে? তোকে আগে কখনও হলে দেখিনিতো। কে তোরে হলে তুলেছে? আর ঐসব আবাসিকতার কাহিনী বাদ দে, আমরা যা বলবো হলে তাই হবে। তখন অভিযুক্ত তরুণ বলেন, আমারে চিনিস তুই, আমি কে? এখনও ভালোয় ভালোয় ৪২৮ থেকে সবকিছু নিয়ে কোথায় যাবি যা। ৩০৮ এ থাকবি নাকি কোথায় থাকবি আমরা জানিনা। এইটা বলার পর ইতোমধ্যে রুমের বাইরে করিডোরে ফেলে দেয়া ভুক্তভোগীর বই, খাতা, তোশক, বালিসসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বলে এইখানে তোর সবকিছু আছে নিয়ে চলে যাস।

এদিকে অভিযুক্ত রাজু বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আরেক অভিযুক্ত তরুণকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, অভিযোগকারীর সিট থেকে বের করার বিষয়টি মিথ্যা। কারণ সে ওই সিটে ওঠেই নি। আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীকে উঠতে কখনো বাঁধা দেয়না বরং আমরা সাহায্য করি।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমি একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।