ঢাবিকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দানে প্রধানমন্ত্রীর ‘আশ্বাস’

ঢাবি
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) স্পেশাল স্ট্যাটাস (বিশেষ মর্যাদা) প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মৌখিক আবেদন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির এ আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইতিবাচক’ সাড়া দিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ মর্যাদার সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে একটি লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন বলে জানান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা।

গত সোমবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন তারা।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্পেশাল স্ট্যাটাস (বিশেষ মর্যাদা) সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়ার জন্য আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে তিনি আমাদের পজেটিভ সাইন দিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা শুনে একটি লিখিত আবেদনপত্র দিতে বলেছেন যেখানে স্পেশাল স্ট্যাটাস থাকলে কি কি সুযোগ-সুবিধা সুবিধা থাকবে সেগুলো উল্লেখ করতে বলেছেন।

তিনি  আরও বলেন, বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলংকাতেও আছে। স্পেশাল স্ট্যাটাস দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে শুরু করে স্পেশাল এডুকেশন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, এতে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে শুরু করে ইউজিসিতে আমাদের মর্যাদা বাড়বে; শিক্ষকদের কোয়ালিটি, মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। আমরা এটার জন্য একটা রূপরেখা করতেছি। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে আমরা এটা দিবো উনি দেখবেন।

এই বিশেষ মর্যাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে উল্লেখ করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু লিমিটেশনস (সীমাবদ্ধতা) আছে যেমন- অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, হলের স্বল্পতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাবদ্ধতা। আমরা যদি এই বিশেষ মর্যাদা পাই তাহলে এসব সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের একটা জায়গা হতে পারে। এটাই ছিল আমাদের সৌজন্য সাক্ষাতের মূল ফোকাস।’

বিশেষ মর্যাদা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, শিক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক জিনাত হুদা।

তিনি বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি কারণ এখানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তিটি চালু আছে, বঙ্গমাতা সেন্টার চালু হয়েছে, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ইনস্টিটিউট হয়েছে। আমাদের এতগুলো হলে মেরামত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থায়নে হয়েছে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দিকেও আমরা দৃষ্টি দিয়েছি এবং গবেষণার জায়গাটিকে আমরা কিভাবে আরো বৃদ্ধি করতে পারি সেখানেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

গবেষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইয়ের সাথে যোগসূত্র স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধ রয়েছে; এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে এলামনাই আছে তাদের সাথে আরও বেশি যোগসূত্র স্থাপনের করতে, যাতে করে তারা আরও বেশি করে আমাদের সাপোর্ট দিতে পারে