ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা, অভিভাবক না আসার আহ্বান ঢাবি ভিসির 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ‘কলা ,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া আগামী ১২ মে ‘বিজ্ঞান ইউনিট’ ও ১৩ মে ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে  ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সাথে পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিভাবক না আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক এ কথা জানান উপাচার্য।

তিনি বলেন, ভর্তিচ্ছুদের এখন নিজের মতো করে কাজ করতে দিয়ে সক্ষম করে তোলা আমাদের জন্য জরুরি। একজন শিক্ষার্থীর পেছনে যেন দুইজন অভিভাবক না আসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা মেধা এবং সক্ষমতার স্বাক্ষর ইতিমধ্যে রেখেছে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে।

অতিরিক্ত যানবাহন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাড়তি যানবাহন, অন্যান্য পরিবহন যেগুলো রয়েছে—সেগুলো যেন ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে। এতে করে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। বাড়তি মানুষের চাপ, উৎসুক মানুষের চাপ যেন না থাকে। ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় আমাদের শিক্ষকরা আছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, অসাধু চক্রের নানা ধরনের অপপ্রয়াস, ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্নফাঁসের বিভিন্ন তৎপরতা ছিল। তাদেরকে মূলোৎপাটনের একটা উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। সেই সূত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যার ফলে সে বিষয়টি এখন নেই তবুও আমরা সতর্ক রয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশা করবো, সামনের দিনগুলোতেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। এক্ষেত্রে সব মহলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের আট বিভাগীয় কেন্দ্রে একযোগে কলা ‘আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে এ ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৯৩৪টি। সে হিসেবে প্রতিটি আসনের জন্য লড়েছেন প্রায় ৪২ জন শিক্ষার্থী।