আন্দোলনের মুখে কর্মচারী বাদলের শাস্তির আশ্বাস যবিপ্রবি উপাচার্যের

যবিপ্রবি
কর্মচারী বাদলের শাস্তির আশ্বাস যবিপ্রবি উপাচার্যের  © টিবিএম ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল  ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে  উপাচার্যের বরাবর  স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিক্ষোভকারীরা।

আরও পড়ুনঃ কর্মচারীর মোড়কে সন্ত্রাসী খ্যাত বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে যবিপ্রবি

বুধবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান করে আন্দোলন কারীরা। এসময় বাদলের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা। এসময় বক্তারা অভিযুক্তদের ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আন্দোলনের এক পর্যায়ে যবিপ্রবি প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান এসে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাকে প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যান এবং উপাচার্য না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যবিপ্রবি  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনা স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। আগামী(১৩ তারিখ) রিজেন্ট বোর্ডে এই বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন আমি তোমাদেরকে  আশ্বস্ত করছি, নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও কর্মচারী শাহিনুর রহমান সাগরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি খাদ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গত ১৩ এপ্রিল রাত ৯.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হাতুড়িপেটায় গুরুতর জখম করেন। জানা যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে চারশতক জমি ক্রয় করে ফটোকপির দোকান দিয়ে তার পড়াশোনার খরচ চালায়। কিন্তু সেই জমি দখল নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল বিভিন্ন সময় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে ভুক্তভোগীর কাছে। চাঁদা না দিলে এই জমিতে উঠতে দিবেন না বলে হুমকি দেন বাদল। ভুক্তভোগী মামুন কোনো ব্যবস্থা না করতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে  বিচারক জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিষয়টি বাদল জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে রাতে দোকান ও জমি দখল করতে আসে। তাদের বাধা দিলে বাদলের নেতৃত্বে  তারা হাতুড়ি দিয়ে মামুনকে হত্যার চেষ্টা করে।এ অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন এই বাদল।


মন্তব্য