বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে স্বস্তি, গুচ্ছে অস্বস্তি! 

ববি
  © ফাইল ছবি

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (২০ মে) ‘খ’ ইউনিট তথা মানবিক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ২টি কেন্দ্রে (বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সরকারি মহিলা কলেজ)  ‘বি’ ইউনিটে ৩৫৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

একদিকে বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে যেমনটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে , তেমনি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়মে অনেকেই অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। শনিবার (২০ মে) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভরৃতি পরিক্ষা দিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের মধ্যে এসব চিত্র ফুটে উঠেছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা হাসনাত জামিল নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারছি,এটা ভালো লাগছে। এখন আর দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে,কষ্ট করে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না। তবে একটা জিনিস খারাপ লাগছে তা হলো গুচ্ছ সিস্টেম অনেক দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া এবং দেখা যায় অনেক সময় পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ থেকেও ভর্তি হওয়া যায় না। 

ভোলা জেলার চরফ্যাশন থেকে আসা এক ভর্তি পরীক্ষার্থী অবিভাবক বলেন, গুচ্ছ নিয়মে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয় না,বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে একটি পরীক্ষা দিলেই হয়,এটা ভালো নিয়ম। এর ফলে,যাতায়াত সমস্যা অনেকটা মিটে যায়।এই যেমন মনে করেন আমি সকাল রওনা দিয়ে এখানে আসতে পেরেছি কিন্তু দূরের কোথাও হলে কিন্তু সকালপ আসতে পারতাম না। এই নিয়মে (গুচ্ছ)  ভালো দিক থাকলেও কিছুটা সমস্যাও রয়েছে।যেমন গত বছর দেখেছি গুচ্ছ ভর্তি সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। 

আরেক অবিভাবক বলেন,সব মিলিয়ে মোটামুটি এই নিয়মটি(গুচ্ছ) ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। বিশেষকরে মেয়েদের জন্য। যদি মনে করেন সিলেটে(সাস্ট) ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া লাগত তবে একদিন আগে রওনা করা লাগতো। ফলে এখানে একটা যাতায়াতের সমস্যা থাকতো। এছাড়া সেখানে গিয়ে থাকারও একটা সমস্যা ছিলো কিন্তু বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে পারায় এই ঝামেলা আর থাকছে না।

রাকিব রায়হান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ভালো লাগছে নিজ বিভাগে পরীক্ষা দিতে পেরে।তবে গুচ্ছ নিয়ম চমার কাছে কিছুটা বিরক্তিকর। কারণ একই বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়ার পরেও দেখা দেখা যায়,ঢাবি,রাবি,জাবিতে তে ক্লাস শুরু হয়ে যায় কিন্তু গুচ্ছ নিয়মে ওই সময়ে ভর্তিই সম্পন্ন হয় না। এর ফলে তাদের থেকে গুচ্ছে যারা থাকে তারা পিছিয়ে পড়ে। এছাড়া আবার পছন্দের বিষয় পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে হয়,এতে খরচের পরিমানটাও বেড়ে যায়।

উল্লেখ্য, এ বছর গুচ্ছে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা সংখ্যা ৩০৩২৩১ জন। যার মধ্যে এ ইউনিটে ১৬৬৯৩৩ জন,বি ইউনিটে ৯৬৪৩৪ জন,সি ইউনিটে ৩৯৮৬৪ জন। যার মধ্যে 'বি' ইউনিটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আবেদনকারীর সংখ্যা ৩৫৭৬ জন।


মন্তব্য