অধ্যাপক জামালের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: ঢাবি শিক্ষক সমিতি 

ঢাবি
  © সংগৃৃহীত

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক মানববন্ধনে নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন। এতে দেশব্যাপী শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার শিক্ষক সমিতির ব্যানারে করা তার এ মন্তব্য অধ্যাপক জামালের একান্ত ব্যক্তিগত উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার (২৪ মে) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশের ব্যানারে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের যে বক্তব্য তা একান্তভাবে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে সকল মত ও পথের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকল সময়ই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান করে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষে দৃঢ় ভূমিকা পালন করে।

এতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুতিকাগার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী এসকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে যে বক্তব্য ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা সমর্থন করে না। এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, শিক্ষক সমিতির বক্তব্য নয়।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্বাস করে সকল দল ও জনগণের অংশগ্রহনের মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ও এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদেরও সদস্য নন। সুতরাং, শুধুমাত্র ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের বক্তব্যকে যেভাবে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকা মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত জামাল উদ্দীন ‘যুক্তি’ দেন, করোনা দুর্যোগের কারণে দুই বছর জাতীয় সংসদ ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি। ওই সময় সরকার, জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেউই ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি এবং দেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি। তাই সংসদ ও সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো প্রয়োজন। তবে কোনো কারণে পাঁচ বছর সম্ভব না হলে সরকার ও সংসদের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর বাড়ানো যেতে পারে। তার এই বক্তব্যের পরে দেশব্যাপী শুরু আলোচনা-সমালোচনা।


মন্তব্য