জাবিতে নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত

জাবি
  © টিবিএম ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুল হাবিবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক আহমেদ রেজা বলেন, যে দুইজন কবি আমাদেরকে সব থেকে বেশি প্রভাবিত করেন তাদের মধ্যে একজন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমি ধন্যবাদ জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেকে। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশে নজরুলকে স্বপরিবারে আনা হয়েছিল। আমাদের সংকটে, সংগ্রামে, দিক নির্দেশনায় শিক্ষক হিসেবে নজরুলকে সব সময় আমরা আমাদের পাশে পেয়ে থাকি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম বলেন, আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের জীবন এক বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ছিল৷ অভাবী পরিবারে জন্ম নিয়েও সাহিত্য ও দেশের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। যখন যুদ্ধের ডাক এসেছে তখন ছুটে গেছেন, কবিতায় অনুপ্রাণিত করেছেন তরুণদের৷ নজরুলের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

বঙ্কিম পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রধান বক্তার বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের বঙ্কিম পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখক কিন্নর রায় বলেন, নজরুল ছিলেন বিদ্রোহী, প্রেমিক, ভাষার স্রস্টা, সাংবাদিক। তিনি মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন। দেশ ভাগ হয়েছে কিন্তু নজরুল ভাগ হয়নি। তাকে ভাগ করা সম্ভব নয়। তিনি দুই জাতিস্বত্বার সেতু। জয়নুল আবেদীন, জীবনাননদ দাশ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাদ দিয়ে যেমন বাংলা কল্পনা করা যায় না তেমনি তাকেও বাদ দেওয়া যায় না। তিনি ছিলেন বড় প্রেমিক। প্রেমিক না হলে বিপ্লবী হওয়া যায় না।

মূল আলোচনায় জার্মান গবেষক ক্যারোল স্মিট বলেন, আমি প্রথমে জার্মান সাহিত্যের সাথে পরিচিত ছিলাম যেহেতু সেটা আমার মাতৃভাষা। কিন্তু নজরুলে সাহিত্য পড়ে আমি বিস্মিত হয়েছি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমি তার মূল ভাষার সাহিত্য পড়তে পারি না। নজরুলের সাহিত্য বোঝার জন্য আমি বাংলাদেশে এসেছি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসাইন বলেন, নজরুলের চেতনাকে আমরা যেভাবে পাই তা অবিস্মরণীয়। নজরুল প্রতিটি পদে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি সংগঠন করেছেন, নির্বাচন করেছেন। এমন কোনো দিক পাওয়া যায় না যেখানে তার অবদান নেই।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রক্টর আ.স. ম ফিরোজ-উল-হাসান, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের উপপরিচালক নাসরিন সুলতানা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ