পাবিপ্রবির আলো রাঙাবে বিশ্বমঞ্চ : ড. হাফিজা খাতুন 

পাবিপ্রবি
  © টিবিএম ফটো

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) গ্র্যাজুয়েটরা দেশের গন্ডি পেরিয়ে পৃথিবীব্যাপী সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আমার প্রত্যাশা, একদিন পাবিপ্রবির এই আলোই রাঙাবে বিশ্বমঞ্চ। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের কাজের মাধ্যমে  পৃথিবীতে পরিচিত করে তুলছে এবং ভবিষ্যতেও যারা করবে- সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দোয়া ও আশীর্বাদ রইলো।

সোমবার(৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা আগামী বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টায় আছি। ইতোমধ্যে আমাদের দুটি(ফার্মেসি ও কম্পিউটার ল্যাব) অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরীর কাজ চলছে। ডিনদের জন্য আলাদা অফিস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। 

সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা এবং ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দিন।

এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিশেষ বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দেশের স্বনামধন্য ২০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং ২১ বিভাগের ২১জন অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এসময়  ডকুমেন্টারীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নাজমুল হোসেন সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অতিথিসহ গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য