অছাত্রকে বের করতে ঢাবির জসীম উদ্দিন হলে অভিযান

ঢাবি
  © টিবিএম ফটো

হলে অবৈধভাবে থাকা; মাস্টার্স শেষ হওয়ার পরেও হলে অবস্থান করা; অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করাসহ হলের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হল প্রশাসন। 

এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত হলের বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালায় হল কর্তৃপক্ষ। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শাহীন খান ও হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, হল প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে চলা এ অভিযানের মাধ্যমে যেসব শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে কিংবা হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তাদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করা এবং যেসব কক্ষে বৈদ্যুতিক চুলা, হিটার অথবা ইস্ত্রী মেশিন রয়েছে তা অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার না করতে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা হয়। অন্যথায় ব্যবস্থা নেয়ারও কথা জানানো হয়। 

হল প্রশাসনের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান শাকের বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, গতকাল রাতে স্যার (হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহীন) অভিযান চালিয়েছেন। উনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই হলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যা চাই তার বাস্তবায়নে স্যার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হলের শিক্ষার্থীরা এতে খুশি। আশা করি ভবিষ্যতেও স্যারের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. প্লাবন ইসলাম বলেন, ‘স্যার হলের প্রভোস্ট হওয়ার পর বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে হলের মধ্যে একটা আমেজ তৈরি হয়েছে। ক্যান্টিনের খাবারের মান হতে শুরু করে, ছাড়পোকা নিধন কার্যক্রম জানান দেয় শাহীন স্যার শিক্ষার্থী বান্ধব। আমরা এরকম অভিভাবক পেয়ে খুব খুশি। আমরা আরো নতুন এক ইতিবাচক পরিবর্তনের অপেক্ষায়, যেখানে কবি জসীম উদ্দীন হল হবে স্মার্ট হল এবং যার প্রেক্ষাপটে থাকবে শাহীন স্যার।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহীন খান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আসলে এটি হল প্রশাসনের একটি নিয়মিত ও চলমান প্রক্রিয়া। হল প্রশাসনের সাথে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব কমানো এবং শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হলে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করা, হলের ডাটাবেস আপডেট করা, পাসকৃত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নতুনদের জন্য হলের সিট ছেড়ে দিতে উদ্ধুদ্ধ করা এবং রুমে হিটার ব্যবহার বন্ধ করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমরা (হল প্রশাসন) ছাত্র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করছি সকলকে সাথে নিয়ে কবি জসীমউদ্দিন হলকে অল্প সময়ের মধ্যেই শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো। এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।