ফল উৎসবে মেতেছেন ঢাবির সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
- লিটন ইসলাম, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০৪:৩৯ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ০৪:৫৮ PM

গ্রীষ্মকালকে বিদায় জানিয়ে ষড়ঋতুর চক্রাকারে এখন বর্ষার শুরু। গ্রীষ্ম ও বর্ষার মাসগুলোতে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ হরেক রকমের ফলের স্বাদে মেতে ওঠে বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। প্রকৃতির এই সময়কে উপভোগ করতে পিছিয়ে নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বাহারি সব মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে ফল উৎসবে মেতে উঠেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১০টায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ইনস্টিটিউটের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবের আয়োজন করেন। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, দই, চিড়া, কলা, লটকনে ভরপেট খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে ব্যাচটি। বাহারি সাজে সাজানো হয় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ। এসময় ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, একেক সময়ে একেক ফল খেলেও একসাথে সবার সাথে সব ধরনের ফল খাওয়া হয় না। এভাবে সকলে একসাথে ফল খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এতে করে পারিবারিক অনুভূতি তৈরি হবে ও সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, অধ্যাপক তানিয়া রহমান, অধ্যাপক শাহীন খান, অধ্যাপক এস কে তাওহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তাওহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমান, লেকচারার মো. শাহাজাহানসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
অনুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক এস কে তাওহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বাঙালির সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিতে ধারণ করে আজকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফলের যে সমাহার করেছে এটা সত্যি ভালো লাগার মতো একটা ব্যাপার। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। সামনের দিনেও শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, আগে আমরা বলতাম যে মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু এখন ফলমূলের সমাহার দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভাতে-ফলে বাঙালি। আমার শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের অনেক প্রোগ্রাম দেখেছি কিন্তু আজকের এরকম বাহারি ফলের সমাহার কখনো দেখিনি। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে একরকম আয়োজন খুবই জরুরী। সামনের দিনেও শিক্ষার্থীরা এরকম আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে সেই প্রত্যাশা করি।