বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতির পরিসমাপ্তি ঘটাতে হবে: ঢাবি উপাচার্য 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সমাজে বিভিন্ন অপসংস্কৃতির পরিসমাপ্তি এবং নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নীতিনির্ধারণী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক উপরে। প্রধানমন্ত্রীসহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত নারী শিক্ষার্থীদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নারীসমাজ আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (৮ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল বিতর্ক ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত দুদিনব্যাপী '৫ম রোকেয়া বিতর্ক উৎসব'-এ উপাচার্য এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠিত এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।  

বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল বিতর্ক ক্লাব চ্যাম্পিয়ন এবং বিজয় একাত্তর হল বিতর্ক ক্লাব রানার্স-আপ হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন স্যার এ এফ রহমান হলের অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মবিন মজুমদার । 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রোকেয়া হল বিতর্ক ক্লাবের সভাপতি অর্পিতা গোলদারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর সামশাদ নওরীন এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। হল ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরজু আফরিন ক্যাথি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের মানবিক, দক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্যক্রম অনুশীলনের উপর গুরুত্বারোপ করে আরও বলেন, এক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রেখে প্রতিটি কাজ করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

উল্লেখ্য,এবারের উৎসবে ৩২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক ক্লাব অংশ নেয়।