সার্জেন্ট পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন কুবির ৭ শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাস
  © ফাইল ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৭ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সার্জেন্ট পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। 

সুপারিশপ্রাপ্ত ৭ জন হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের  সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল অভি, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান মাহমুদ জীবন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হরিৎ, অর্থনীতি দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন ও মার্কেটিং দশম ব্যাচের নাজমুল লিংকন চৌধুরী এবং ১১তম ব্যাচের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: ইমতিয়াজ শাহরিয়া ভূঁইয়া। 

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল অভি বলেন, 'আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন পুলিশে আছে। ওনাদের দেখেই পুলিশে কাজ করার পেওটি আগ্রহী। অবশেষে সেই আশা পূরণ হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।'


ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, 'স্বপ্ন ছিলো একজন পুলিশ অফিসার হওয়ার, আল্লাহর অশেষ রহমতে পেশা হিসেবে নিজের প্যাশনটাকেই বেছে নেয়ার সুযোগ পেয়েছি। সৎ, স্বচ্ছ ও মানবিক থেকে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন ও সেবা দেয়ার চেষ্টা করব।'

 মার্কেটিং দশম ব্যাচের নাজমুল লিংকন চৌধুরী বলেন, মনের ভিতর একটা প্রশান্তি কাজ করছে। দীর্ঘ ছয় মাসের কষ্ট পরিশ্রম আর আপনাদের দোয়ায় সফল হয়েছি। আমি চাই এই সফলতাকে কাজে লাগিয়ে আরো এগিয়ে যেতে। মানুষ বলে পুলিশের চাকরি পেতে নাকি টাকা লাগে কিন্তু কোন টাকা পয়সা ছাড়াও পুলিশে চাকরি হয় তার প্রমান আমি নিজেই। যারা পুলিশে আসতে চায় তাদের বলবো তোমাদের যদি লক্ষ্য এবং পরিশ্রম থাকে তাহলে অবশ্যই সফল হবা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি মানুষের সেবা করতে পারি।

ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: ইমতিয়াজ শাহরিয়া ভূঁইয়া বলেন, 'মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিন হবে সিনিয়রা সবাইকে জিজ্ঞেস করতেছিল কে কী হতে চাই? যখন বলেছিলাম পুলিশ হতে চাই তখন সবাই একটু হা করে তাকাই ছিল।ইন্জিনিয়ারিং পড়ে পুলিশ! পড়ে বন্ধু বান্ধব সবাই ধরে নিয়েছিল এই পেশাটাই সত্যি সত্যি আমার সাথে মানাবে। পরম করুনাময় আল্লাহ সহায় হয়েছেন। আমার পরিবার এবং পাশের মানুষ মানুষগুলো সবসময় সাপোর্টিভ ছিল।

আর স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠন, সামাজিক, আঞ্চলিক এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়েও হলে থাকার সুবাদে অনেক মানুষের সাথে মেলামেশা এবং মানুষের জন্য সাধ্যমত কিছু করার শিক্ষা পেয়েছি।সেখানে বাংলাদেশ পুলিশের মত একটা প্লাটফর্ম পেলে কাজ করার অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। কাজের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের সুনাম বৃদ্ধি করতে চাই।