ইবিতে নিরাপত্তাকর্মীর সাথে ২ শিক্ষার্থীর অসদাচরণের অভিযোগ 

ইবি
  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নিরাপত্তাকর্মীর সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে প্রক্টর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিন। তিনি এস্টেট অফিসের নিরাপত্তা সেলের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের দায়িত্বে রয়েছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেদোয়ান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুর জোহরা।

লিখিত অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটের সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে মোটর সাইকেল এলোমেলো ভাবে চলাচল করছিল। এসময় আমি তাদেরকে মোটর সাইকেল থামাতে বলি এবং তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। পরে তাদের পরিচয় জানতে পারি। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি এলোপাতাড়ি মোটর সাইকেল চালাচ্ছেন কেনো? তখন রেদোয়ান বলেন আমি যেভাবেই মোটর সাইকেল চালায় তাতে আপনার কি? আপনার সাইকেলের সাথে তো ধাক্কা লাগেনি এবং আপনি বলার কে। আমার সাথে থাকা দুইজন র‌্যাবের প্রতিনিধি ঘটনা স্থানে উপস্থিত ছিলেন। তারা চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসছিল এবং এর মাঝে উপ-উপাচার্য মহোদয়ের পি.এস সোহেল রানাও উপস্থিত হন। আমাদের প্রত্যেকের সাথে তারা খারাপ আচরণ করেন। কথার এক পর্যায়ে ফাতেমাতুর জোহরা আমাকে বলেন, আমি কি করতে পারি আপনি জানেন? এখন যদি ছাত্রদের ডাকি তাহলে আপনার কি অবস্থা হবে তা আপনি জানেন না। প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সেল সম্পর্কে বাজে ভাবে গালাগালি করতে থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, আপনি এবং আপনার প্রশাসন আমার কিছুই করতে পারবে না। এমতোবস্থায় আমরা সবাই ঐ স্থান ত্যাগ করি।

এ ঘটনায় র‍্যাবের প্রতিনিধি জনাব মো: শাহিন বলেন, আমরা একটি ঘটনার তদন্তের কাজে ফরিদ ভাইয়ের সাথেই যাচ্ছিলাম এসময় একজন ছেলে অন্যরকম ভঙ্গিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। তার সাথে একটি মেয়ে ছিলো। আমরা ওদের বলেছিলাম এভাবে গাড়ি চালানো ঠিক নয়। এসময় তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, অভিযোগ পত্রে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি প্রশাসনকে উল্লেখ করে কোন কথা বলিনি। তাছাড়া আমাদের বাইকটি ধীরগতিতেই ছিলো। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যদি আমাদের কোন ভুলত্রুটি থাকে আর অভিযোগকারীরা এটা প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমরা যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নিবো। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং এর সুষ্ঠু বিচার হোক।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান বলেন, যেসব অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীণ। তাদের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডা হয়েছো সত্য। এছাড়া জোরে গাড়ি চালাসহ যা কিছু লেখা আছে এটা যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে প্রশাসন যা শাস্তি দিবে আমরা মাথা পেতে নিবো। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইলো এর সুষ্ঠু তদন্ত  করুন। তবে ঘটনা যদি সত্য না হয় তাহলে আমাদেরকে হ্যারাসমেন্টের জন্য এর সুষ্ঠু বিচারের আবেদন রইলো।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, অফিস থেকে বের হওয়ার সময় একটা চিঠি এসেছিল। পরে ওটা দেখা হয়নি। কালকে গিয়ে দেখে তারপর জানাবো।