জাবিতে মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ক্যাম্পাস
  © টিবিএম ফটো

বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশি আলোচ্য বিষয় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। স্বাস্থ্যই যখন সকল সুখের মূল তখন সেই স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখাও সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার স্বাস্থ্যকেই বোঝায়। শরীরের ব্যাপারে আমরা যতটা যত্নশীল মনের ব্যাপারে আমরা ঠিক ততটাই উদাসীন।

আধুনিক যুগে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য মানসিক সুস্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের কথা চিন্তা করেই শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সুরক্ষা’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সকাল সাড়ে দশটায় কর্মশালাটি শুরু হয়ে বেলা ১ টা পর্যন্ত চলে৷

সেমিনারের প্রধান আলোচক, ‘প্রশান্তি’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সায়মা সফীজ সুমি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যা কিছুই করি সবকিছুর চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকে ভালো থাকা। কিন্তু কোনো কোনো সময় সামগ্রিক পরিস্থিতি ও প্রতিবেশের নানান ঘটনা জীবনে চলার পথকে তীব্রভাবে প্রভাবিত করে, যা সাংঘর্ষিকভাবে আবির্ভূত হয় মানসিক অসুস্থতা রূপে। সে পারিপার্শ্বিকতা বা পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে আমরা প্রায়ই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, যা আমাদের নিত্যদিনের কাজকে ব্যাহত করে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতেই আত্মনিমগ্ন হওয়া, প্রকৃতির আনুকূল্যে সুস্থ্য দেহ প্রশান্ত মন তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজে ভালো থাকা ও চারপাশকে ভালো রাখার জন্য সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করাটা জরুরি। তবেই আমরা ভালো থাকব।’ এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত মানসিক চর্চা অব্যাহত রাখার ব্যবহারিক পদ্ধতি শেখান এবং সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দেন।


কর্মশালার সভাপতি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘মন শরীরটাকে ভালো রাখে৷ তাই মন ভালো রাখা জরুরি। বিক্ষিপ্ত অবস্থা থেকে প্রশান্ত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিকল্প নেই। মানুষের জীবনে নানা উত্থান পতন থাকে। এই পতন অথাৎ প্রতিকূলতার মাঝেও যাতে সহজেই আমরা উতরে যেতে পারি সেজন্যই এই মেডিটেশন। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসকে সুদূঢ় করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার চালিকাশক্তি হতে পারে।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা, অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালি, অধ্যাপক ড. নাহিদ হক, অধ্যাপক ড. সোহানা বিলকিস, অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম, অধ্যাপক ড. ফারহানা আখতার, অধ্যাপক ড. খন্দকার শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান তালুকদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা আবেদীন, সহযোগী অধ্যাপক তাসনুমা জামান, সহকারী অধ্যাপক ড. তৃপ্তি সরকার, সহকারী অধ্যাপক মো. বশিরুজ্জামান খোকনসহ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।