জনবল সংকটের জন্য চালু হচ্ছে না জাবির নবনির্মিত হল: জাবি ভিসি
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৩:২০ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৩:২০ PM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত ছয়টি হলের মধ্যে দুইটি হল চালু করা হলেও জনবল সংকটের জন্য বাকি চারটি হল চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
রবিবার (২৩ জুলাই) রাতে ছাত্রীরা আবাসিক হলে সিটের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাৎকালে এমন মন্তব্য করেন উপাচার্য।
উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, লোকবল সংকটের কারণে নতুন হল চালু করতে পারছি না। আগামী ২৭ শে জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে নতুন হল চালুর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ইউজিসি থেকে লোকবল অনুমোদন পেলে আমরা নতুন হল চালু করতে পারবো। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে নতুন হলগুলোর কর্মচারী নিয়োগের নির্দেশনা না পাওয়ার জন্যই আমরা চালু করতে পারছি না।
এর আগে রাত আটটায় খালেদা জিয়া হল ও শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা আবাসন সিটের জন্য বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
এসময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের (৫০ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার রুনা বলেন, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা গণরুমে অবস্থান করছি। নতুন হলগুলো প্রস্তুত থাকলেও এখনো চালু করা হচ্ছে না। কবে চালু হবে সেটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। গণরুমে আমাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত ন্যায্য সিট চাই।
প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি গরম পড়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীরা অপর্যাপ্ত ফ্যান, রুমের অভাবে একই রুমে ৯০-৯৫ জন মেঝেতে থাকে৷ অসংখ্য শিক্ষার্থী বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সাত দিনের মধ্যে সিটের দাবিতে এখানে এসেছি।'
এসময় উপাচার্য ছাড়াও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার আবু হাসান, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, হলগুলো চালু করার জন্য আমাদের কর্মচারী দরকার কিন্তু ইউজিসি থেকে আমরা কর্মচারী নিয়োগ পাইনি এখনো। সেই জন্যই আমরা হলগুলো চালু করতে পারছি না। আমরা আগামী ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনপক্ষ ইউজিসির সাথে এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মচারী নিয়োগ হলেই আমরা হল গুলো চালু করবো। তিনি আরও বলেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মচারী নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের হাতে থাকলেও বর্তমানে এটা সম্পূর্ণ ইউজিসির হাতে।