ঢাবি-জাবি-চবিতে নভেম্বরের মধ্যে ফিরছে জোবাইক
- লিটন ইসলাম, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৪:১০ PM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৪:১০ PM

চলতি বছরের বছরের নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারও চালু হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপভিত্তিক সাইকেল সেবা ‘জোবাইক’। এ লক্ষ্যে চীন থেকে ২০০ সাইকেল কেনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জোবাইকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেদী রেজা দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে এ তথ্য জানান।
মেহেদী রেজা বলেন, ‘‘আমরা ইতোমধ্যে চীন থেকে ২০০ সাইকেল কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এটা আসতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আশা করছি আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এই সেবা আমরা চালু করতে পারবো।’’
ঢাবি, জাবি ও চবি এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক সেবা চালু করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ’‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি প্রথম রান করবো। তবে সাইকেল স্বল্পতার কারণে হয়তোবা প্রথমে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা চালু হবে।’’
জোবাইক সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে অনেক শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ছিল। সেবাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সে টাকাগুলোও কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মেহেদী রেজা বলেন, ‘‘যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল তাদের টাকা অবশ্যই ফেরত দেওয়া হবে। পাশাপাশি একটি ভালো অঙ্কের বোনাস অফার থাকবে যা দিয়ে তারা কয়েকদিন সেবাটি নিতে পারবেন।’’
২০১৮ সালের জুনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জোবাইকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। পরের মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পরিষেবা চালু করা হয়।শিক্ষার্থীদের চাহিদার কারণে ২৫টি সাইকেল থেকে ১০০-এ উন্নীত করা হয় জোবাইকের সংখ্যা।
এরপর ওই বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চালু হয় জোবাইক। এর বাইরে মিরপুর ডিওএইচএসে চালু ছিল এই কার্যক্রম। শুরুতে প্রযুক্তিগত ঝামেলা পোহাতে হলেও এই উদ্যোগ বেশিদিন টিকেনি। স্থানীয় প্রতিকূলতার কারণে জোবাইক তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এরপর আসে করোনা। থমকে যায় পুরো উদ্যোগ।
মেহেদী রেজা বলেন, ‘‘করোনার মধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমারা এটা সাসটেইন করতে চাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনেক বেশি; সেই তুলনায় আমাদের যোগান অনেক কম। আমরা আশা করছি এটা কাটিয়ে উঠতে পারবো। আপাতত আমরা ২০০ সাইকেল দিয়ে এটা শুরু করবো।’’
জোবাইক শেয়ারিং হচ্ছে মুঠোফোনে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বাইসাইকেল সেবা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে তার মুঠোফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। তারপরে ব্যবহারকারী ‘কি-কোড’ স্ক্যান করে বাইকগুলি আনলক করে চালাতে পারেন। মাত্র ৩ টাকায় ৫ মিনিট বাইসাইকেল রাইড দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারতেন শিক্ষার্থীরা।