ববিতে কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী দ্বৈরথের অবসান, ১৭ দফায় একাত্মতা প্রকাশ
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০০ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০০ PM

শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মকর্তা - শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব দূর করতে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে দু'পক্ষের প্রতিনিধিরা সম্মতি প্রকাশ করে।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অফিসার্স এসোসিয়েশনের কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।সভায় অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
সভায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, ' গত সোমবার আমরা ভিসি স্যারের কাছে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছি। সেখানে এমন কোনো দাবি ছিল না যেটা কর্মকর্তাদের জন্য অসম্মানজনক। কর্মকর্তাদের "স্যার" সম্বোধন করা বা না করা নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হলেও সেটি কোন দাবি ছিল না।কিন্তু একটি পক্ষ সুকৌশলে আমাদেরকে এবং কর্মকর্তাদেরকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেবার পায়তারা করেছিলো'।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি শফিক মুন্সি বলেন, ' শিক্ষার্থীদের যেকোনো একাডেমিক জটিলতার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক। সেই ভূমিকা পালনে তারা যেন আন্তরিকতা প্রকাশ করে সেই প্রত্যাশা তাদের প্রতি থাকবে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের দ্বারা কোনো কর্মকর্তা যেন অসম্মানিত না হয় সে বিষয়েও সচেতনতা প্রয়োজন। আজ আমরা দু'পক্ষই বসে এসব বিষয় সমাধান করার চেষ্টা করেছি'।
সভা শেষে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দীন গোলাপ বলেন, ' বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা চায় শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের কাছে যে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছে সেগুলোর যৌক্তিকতা অনুযায়ী সমাধান করা হোক। আজ তারা আমাদের সঙ্গে বসেছিল এবং সম্প্রতি আমাদের মধ্যকার কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩১ জুলাই) শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষাব্যায় কমানো, আবাসন - পরিবহন সংকট দূরকরা, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, নতুন একাডেমিক ভবন তৈরি সহ নানা ধরণের দাবি পেশ করা হয় ভিসি ড.মোঃ ছাদেকুল আরেফিনের কাছে। একাডেমিক জটিলতা দূরকরণে জোরালো পদক্ষেপের দাবিতে একই দিনে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদারকে এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।