বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন-আন্দোলন; একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ!

বশেমুরবিপ্রবি
আমরণ অনশনের ব্যানার হাতে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীদের একাংশ  © টিবিএম ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সমাধান না আসায় বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করে অনশনে করছেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের আমরণ অনশন

পরে প্রক্টরের অনুরোধে আন্দোলনস্থল পরিবর্তন করে আজ বৃহষ্পতিবার (১০ আগস্ট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন বছর ধরে বিভাগের শিক্ষক সংকট ভুগছি,দুইজন শিক্ষক দিয়ে একটা বিভাগ চলছে। এতে আমাদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। 

তারা আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য উপাচার্য, শিক্ষক পরিষদ আবেদন করেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি। তাই তারা তাদের দাবি আদায়ে অনশনে বসেছেন। শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গীকার হিসেবে যদি শিক্ষামন্ত্রী কিংবা ইউজিসির স্বাক্ষরিত কোন পত্র  আসে তাহলেই কেবল তারা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন অন্যথায় শিক্ষক নিয়োগ না হলে তারা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের আমরণ অনশন

এদিকে রাতভর অনশনে থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব। একাত্মতা প্রকাশ করে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, "এই সংগঠনের সবাই শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।" এ সময় বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক ও সংগঠনকে একাত্মতা প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি।

আজ সকালে অনশনস্থলে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ,ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোঃ মোবারক হোসেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের আমরণ অনশন

ঢাকায় অবস্থান করা প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনের স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন থেকে আন্দোলনস্থল স্থানান্তরিত করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন-অবস্থান করছেন। 

এর আগে সকালে হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য। 

এদিকে আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।