ডিজিটাল নথির যুগে প্রবেশ করল জাবি

আনুষ্ঠানিকভা ডিজিটাল নথির  (ডি-নথি) যুগে প্রবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর তিনটায়  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মিলনায়তনে আনু্ষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, " ডি-নথির কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে গতি বৃদ্ধি পাবে।" শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবার পাশাপাশি দেশ বিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী  বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডি-নথির কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।' এছাড়া তিনি ডি-নথির সফলতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গতানুগতিক মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম  বক্তব্যে বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প 'স্মার্ট সিটিজেন', ' স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট', 'স্মার্ট ইকোনমি' এবং 'স্মার্ট সোসাইটি'- এই ৪টি স্তম্ভের উপর নির্মিত। স্মার্ট জনশক্তি তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

উপাচার্য আরো বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে অনলাইন প্রকাশনা পোর্টাল, একাউন্টিং সিস্টেম অটোমেশন এর মতো কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। আজ ডি-নথি ব্যবস্থাপনা চালু করার মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক ফাইল ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ আরও সহজ হবে।' 

এছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ডি-নথি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে। উপাচার্যসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারী ব্যক্তিরা যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় ফাইল অনুমোদন করতে পারবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় ও খরচ যেমন কমবে, তেমনি কাগজ সাশ্রয় হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও বেশি নিশ্চিত হবে।