ইডেন কলেজ নেত্রী রিভাকে টিএসসিতে মারধর
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫১ AM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫১ AM

সভায় বসা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাসহ কলেজটির বেশ কয়েকজন নেত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, শামসুন নাহার হল ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভা শেষে টিএসসি মিলনায়তনের প্রবেশ পথে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী এক নেত্রী জানান, সভায় প্রথম দিকের চেয়ারে বসেছিলেন রোকেয়া হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী মিহা আক্তার ও শামসুন নাহার হলের নীলম বিশ্বাস সেতুসহ কয়েকজন। এ সময় রিভাসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেত্রী তাদের উঠে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। তবে তারা রিভাদের চেনেন না জানিয়ে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় মিহার চোয়াল ধরে ঝাঁকি দেন রিভা।
পরে সভা শেষে সৈকতের অনুসারী বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী তানিয়া আক্তার তাপসীসহ কয়েকজন রিভাকে আটকে ধরেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ইডেন কলেজের ২ নেত্রী নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ‘রিভা আপুকে গলা টিপে ধরে কয়েকটা থাপ্পড় মারছে, লাথিও মারা হইছে। এটা তো আমাদের ইউনিট ছাত্রলীগকে থাপ্পড় মারা হইল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ইডেন তো সাধারণ ইউনিট না। আমরা এটার সুষ্ঠু বিচার চাই। সঠিক বিচার না হলে আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো।’
তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, বসা নিয়ে ছোটবোনদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। তারা ইউনিভার্সিটির কয়েকজন পদপ্রত্যাশী। আমরা কেন্দ্রীয় পদধারীরা বসতে চাইছি, কিন্তু তারা উঠবে না। ওরা আমাদের কাউকে চিনেই না এরকম। পরে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা এসে তাদেরকে সরিয়ে দেন। পরে আমরা যখন সভা শেষে বের হই, আমাদের কয়েকজনকে আটকায়। আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করার চেষ্টা করে। তবে তেমন কিছু হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে তানিয়া আক্তার তাপসী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা আগে গিয়ে সামনে বসেন। ১২টার দিকে ইডেনের নেত্রীরা এসে তাদের উঠায়ে দিয়েছেন। তারা ওই মেয়েগুলোকে মুখে ধরে বাজে ব্যবহার করেছেন। তো আমরা প্রোগ্রাম শেষে রিভার কাছে বিচার দিতে গিয়েছি। তখন উনি আমাদের সঙ্গে এগ্রেসিভ আচরণ করেন। আমরা বাঁচার জন্য যা করার করছি। ওরা অনেকে ছিলেন। ইডেন কলেজ মারামারিতে সবসময় ফার্স্ট, আমরা না।’