জবি ইতিহাস বিভাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- আসাদুজ্জামান আপন, জবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৩ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৩ PM

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে "বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের আদর্শিক পটপরিবর্তন : প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে এবং ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহত সকালের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সৃষ্টির ঘটনা প্রবাহ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে জায়েজ করেছেন। বাঙালিকে একত্রিত করেছিলো যে স্লোগান জয় বাংলার বদলে তিনি বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্রবর্তন করেন। তিনি ধর্ম ভিত্তিক দল গঠন, গোলাম আযমের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানায়।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংসদের বাইরে স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপক উত্থানে বিএনপিতে স্বাধীনতা বিরোধীরা শক্তি অর্জন করে। জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা পরিষদ এবং মন্ত্রী সভার ১৮ জন ছিলেন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী।
এর আগে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছাঃ খোদেজা খাতুন পরে আলোচক হিসেবে বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির মেরুকরণ শুধু জঙ্গিবাদ নয় এটি ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দী হয়ে পড়ছে। রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নাই। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতা আর সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্রের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আদর্শ দুইটি গ্রহণ করা তাঁর হত্যার পিছনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আলোচনায় আরো বলেন, একজন ব্যক্তির (বঙ্গবন্ধু) সাথে দেশের আদর্শ এভাবে সম্পৃক্ত হয়ে যেতে পারে এটি একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। আমরা এখন সামান্য একটি পদের জন্য লালায়িত থাকি কিন্তু বঙ্গবন্ধু এমন কিছুই প্রকাশ করেনি। বর্তমানে আদর্শের চেয়ে স্বার্থ বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে এটাই বাস্তবতা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের সভাপতিত্বে এবং উম্মে সালমা হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নউত্তরের ব্যবস্থা করা হয়