এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

ক্যাম্পাস
  © টিবিএম ফটো

রাজধানীর শাহবাগ থানায় গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। হারুনের এমন অপকর্মের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় অতি দ্রুত এডিসি হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালি উল্লাহ বলেন, আমি মনে করি এডিসি হারুন একজন অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। তিনি প্রশাসনের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় থেকেও পরকীয়ার মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন। পূর্বেও তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিকের নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এবং গতকালকে তিনি ঢাবির দুইজন শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম সাদী বলেন, এডিসি হারুনের যে ঘটনাটি গতকাল আমরা জেনেছি সেটা হলো তার নৈতিক স্খলনের কারণে। তার ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে সে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ভাবে, অনৈতিক ভাবে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে, প্রশাসনিক পাওয়ার দেখিয়ে, নির্মমভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। যেটা কোনো ভাবেই কাম্য না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে অমানবিক এই নির্যাতনের জন্য এডিসি হারুনের দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে এনে সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি।

আইয়ুব মোড়ল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আপনি একজন সাধারণ মানুষকে কখনো হেনস্থা করতে পারেন না। সে যদি ভুল থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেন‌ কিন্তু আপনি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই কিন্তু আমি জানি না তিনি কিভাবে অমানবিক নির্যাতন চালালেন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ছাত্রলীগ নেতাদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান ও পুলিশ কর্মকর্তারা রাতেই থানায় ঘটনার মীমাংসা করেন।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এখনো কোন ধরনের প্রতিবাদলিপি ও কোন কর্মসূচি দেয়নি। এর ফলে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই রাজনীতি ছেড়ে দেয়ারও কথা জানান।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ