ইবিতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- ইবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩২ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩২ PM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন ছাত্রকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি একটি মিটিং করেছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডেকেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
র্যাগিংয়ের ঘটনায় সাক্ষ্য নিতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তদন্ত কমিটি। কোনো শিক্ষার্থীর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণাদি থাকলে লিখিত আকারে ও সশরীরে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রের অভিযোগ বিবেচনায় এনে এবং গত ২ সেপ্টেম্বর ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের পর ২০২১-২০২২ শিক্ষবর্ষের কিছু সিনিয়র ছাত্র তার সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে ৩ সেপ্টেম্বর জিমনেশিয়ামের সামনে এবং ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জিমনেশিয়ামের পাশে আবার হয়রানি করা হয়। উক্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকে (মঙ্গলবার) মিটিং করার পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আরো কিছু কাজ এগিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
এক নবীন শিক্ষার্থী গত ৯ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়রের বিরুদ্ধে। রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও বিভাগের সভাপতি বরাবর ছয় পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্র। এর প্রেক্ষিতে ১০ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব, সাদমান সাকিব আকিব। গত ২, ৩ ও ৫ সেপ্টেম্বর তাকে কয়েক দফায় র্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। র্যাগিংয়ের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি চলে যান ওই ছাত্র। একই দিনে ওই ছাত্রের বাবা ওসমান গণি শওকত রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলে অভিযোগ করেন।