ঢাবির নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীদের হেনস্থার অভিযোগ, বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন 

ঢাবি
  © সংগৃৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুজহাত মেহজাবিন কর্তৃক ছেলে শিক্ষার্থীদের বুলিং ও হেনস্তা, পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ ও লিখিত অভিযোগের পরেও ‘বিচার না পাওয়া’র প্রতিবাদে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভাগের ছেলে শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় এ কর্মসূচি শুরু করে বিভাগে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।  পরে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন আগে ছেলে শিক্ষার্থীরা তাদের ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র-জুনিয়রদের নিয়ে একটি ট্যুর আয়োজন করে। এতে বিভাগের কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। বিভাগের ব্যানারেও এ ট্যুর হয়নি। এই আয়োজনে যারা ছিল তাদের সবাইকে ‘যৌন হয়রানিকারী’ এবং ‘মেয়েদেরকে একবারে জঙ্গল দেখিয়ে আনবে’ এরকম বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠে বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নুঝাত মেহজাবিনের বিরুদ্ধে। 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিভিন্ন সময় নুঝাত মেহজাবিন, মায়মুনা রহমান রিদিতসহ আরও কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করে। এসবের বিচার চেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দেয় বিভাগটির ২০১৯-২০ সেশনের ছেলে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের অভিযোগ দেয়ার পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিভাগ। যার কারণে তারা এই কর্মসূচি দিয়েছে।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, নুঝাত মেহজাবিন ছেলেদের শিক্ষার্থীদের সেক্সুয়াল হ্যারেজার বলেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাইনি। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষার্থী উপদেষ্টা দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি কিন্তু ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও কতিপয় মেয়েদের দ্বারা মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুঝাত মেহজাবিন বলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি। এর বাইরে তারা যা বলছে তা সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।

তবে অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক সৃজন সাম্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আমরা একটা অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই বিষয়টি সমাধান করবো।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ