চবিতে সেইভের আয়োজনে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত

চবি
  © টিবিএম ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্টুডেন্ট'স এগেইনেস্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়ার (সেইভ) এর আয়োজনে 'শান্তির বাংলাদেশ গড়ি' প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত হয়েছে। 

সোমবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এ উপলক্ষে র‍্যালি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সেইভের জেনারেল সেক্রেটারি ইমাম ইমুসহ সেইভের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসে অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, ২০০৪ সালে জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে এ দিনটি প্রতিবছর উদযাপন করা হয়। বিশ্বে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি লেগেই আছে। আজকের এ দিবস থেকেই আমরা পুরো বাংলাদেশকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলবো।

সেইভের জেনারেল সেক্রেটারি ইমাম ইমু বলেন, বর্তমানে দেশে এমনকি আমাদের ক্যাম্পাসে ছোট বিষয় নিয়ে সংঘাত শুরু হচ্ছে। আমি অন্য আরেকজনকে সহ্য করতে পারিনা। আমাদের মধ্যে এ ধরনের হিংসামূলক আচরণ এটা একেবারেই কাম্য নয়। আজকের এ দিবস থেকে আমরা একটা জিনিস শিখতে চাই তা হলো সহ্য করার মন-মানসিকতা গড়ে তুলবো। সহিংসতা নয় শান্তির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবো। এটা আমাদের নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে। তাহলে আমরা অহিংস বাংলাদেশ গড়তে পারবো। 

এসময় সংঘাত নয়, শান্তির বাংলাদেশ গড়ি, অহিংসভাবে তুমি পুরো বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পারো, Be the change you want you see এবং Nonviolence is a good policy when the conditions permit ইত্যাদি লেখাসহ সংঘাত বিরোধী নানা উক্তি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। 

এছাড়া অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে চবি ফিল্ম সোসাইটির আবিদ হাসান জয়, রাষ্ট্রচিন্তার সুমি আক্তার, চবি ডিজেবল স্টুডেন্টস সোসাইটির আল আমিন, চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের নুসরাত জাহান নিম্মি ও গ্রিন ভয়েসের নজরুল ইসলাম রায়হান বক্তব্য দিয়েছেন৷ 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে সেইভ বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। এটি তরুণদের জন্য একটি ভিন্ন প্লাটফর্ম যেখানে শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করা হয়। এছাড়া  সকল প্রকার সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।