জবির ১৫৬ অধ্যাপক থেকেই ট্রেজারার চায় জবিশিস
- জবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৩২ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৩২ PM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমানে বিভিন্ন গ্রেডের মোট ১৫৬ জন কর্মরত অধ্যাপকের মধ্য থেকেই ট্রেজারার নিয়োগ চায় শিক্ষক সমিতির নেতারা। বর্তমান ট্রেজারারের বিভিন্ন অদক্ষতা ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে এ দাবি জানায় তারা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি জানান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন অধ্যাপককে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এবং দুইজনকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং তারা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে, অথচ আমরা পিছিয়ে পড়ছি প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে।
বর্তমান কোষাধ্যক্ষের অনিয়ম তুলে ধরে শিক্ষকরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের মেয়াদ তিন বার বর্ধিত করা হয়েছে। তিন বার বর্ধিত করার পর কাজ হয়েছে খুবই সামান্য পরিমাণে। এমনকি অর্থের বিরাট অংশ অব্যয়িত রয়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। প্রকল্পের লেকের কাজ যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পরিবারের গ্রুপকে টেন্ডার দেয়া এবং কাজ শেষ হওয়ার আগেই তা ভেঙে পড়েছে। প্রকৌশল ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়, অর্থ দপ্তরের আর্থিক কেলেঙ্কারি সহ বেশ কিছু অনিয়ম তুলে ধরেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগের দাবী জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন গ্রেডে ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন৷ সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষকবৃন্দের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের কাজের ধীরগতি নিয়ে আমরা প্রায়ই উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি৷ নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করেছি, সীমানা প্রাচীরের খসে যাওয়া চিত্র এনে দেখিয়েছি৷ এমন ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, আগামী ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এর মেয়াদ শেষ হবে। পরবর্তী কোষাধ্যক্ষ কে হবে তাই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষকদের মাঝে চলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সরকারের উচ্চ পদস্থ জায়গায় দৌড়ঝাঁপ।