ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ

ডাকসু
সমাবেশের একাংশ  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগেই তফসিল ঘোষণার দাবী জানান।

আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তানিশা বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের অধিকারের কথা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য কোন প্লাটফর্ম নেই। মলচত্বরে যে প্রকল্প হচ্ছে তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত কী? সবুজ চত্বর ধ্বংস করে সেখানে কংক্রিটের স্থপনা বানানো হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এর পক্ষে মত নেই কিন্তু আমরা কথা বলতে পারছি না। 

তিনি আরও বলেন, গণরুম ল-গেস্টরুমে যে অত্যাচার হয় তার বিরোধীতা কোন উপায় নাই। আমার যে মতামত দেই সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সেটা বলার কোন পরিস্থিতি নেই। এই প্লাটফর্ম হলো ডাকসু যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তারা জয়লাভ করে প্রশাসনের কাছে আমাদের কথা বলবে। গত ডাকসু নির্বাচনেও ছোট ছোট অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে সেগুলো আমাদের জন্য জরুরী। ডাকসুর অভাবে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। 

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ  প্রয়োজন তার নূন্যতম অংশও নেই, শিক্ষার পরিবেশ নেই, মুক্ত চিন্তার পরিবেশ নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জণগণের টাকায় চললেও এটি একটি বুর্জোয়া শ্রেণির হাতের পুতুল হয়ে উঠেছে। কোনো বিরোধী মত তাদের বিরুদ্ধে গেলে প্রশাসন তাদের হয়ে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয় আর শিক্ষার্থীদের জন্য নেই, একটি ব্যাবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।  

সাদিকুল ইসলাম বলেন, ২৮ বছর ধরে ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ২০১৯ সালে নির্বাচন হয়েছে এবং পুরো প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পরবর্তীতে তার মেয়াদ শেষ হলেও পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার নাম নেওয়া হচ্ছে না। ১৯৭৩ সালের যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার সেখানে ডাকসু নির্বাচন এর কথা স্পষ্ট বলা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নির্বাচন হলেও ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে না অথচ এটি এখন সময়ের দাবি। এই নির্বাচন না হলে ক্যাম্পাসের যে অগতান্ত্রিক পরিবেশ তার কোন পরিবর্তন হবে না। ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের লড়াই সংগ্রামের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রদের মাঝে গণতান্ত্রিক চর্চা জাগ্রত করেছে ডাকসু। তাই শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে।