ঢাবিতে ক্লাস করে আটক ভুয়া শিক্ষার্থী, ধরা খাওয়ার পর বললেন ‘গোয়েন্দা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেশ কয়েকদিন ক্লাস করে আসছিলেন আল সানি নামের এক ব্যক্তি। তাকে দেখে সহপাঠীদের মনে সন্দেহ তৈরি হলে বিভাগের চেয়ারপার্সনের কাছে সোপর্দ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর নিজেকে পরিচয় দেন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। পরে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) ক্লাস চলাকালীন সহপাঠীদের হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই শিক্ষার্থী। জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী আটককৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম আল সানি। পিতার নাম মো. আবু জাফর খাঁ। মাতার নাম রুনা আক্তার। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলা সদরের কালিকাপুর এলাকার মহিলা কলেজ পাড়ায়৷ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, আল সানি নামে ওই ছেলেটি আমাদের সমাজবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ক্লাস করেছে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তারা বিভাগীয় চেয়ারপার্সনের কাছে বিষয়টি জানান। পরে ভর্তি সংক্রান্ত কর্মকর্তারা জানান এ নামে কোনো শিক্ষার্থী উক্ত বিভাগে ভর্তি হয়নি। পরে বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। এসময় সে নিজেকে এনএসআই কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিলে এনএসআই সূত্র মিলিয়ে দেখা যায় তার এ দাবি মিথ্যা। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে কি না এমন প্রশ্নে ঢাবি প্রক্টর বলেন, যেহেতু এখন পর্যন্ত তার উদ্দেশ্য জানা যায়নি, এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতই সে ক্লাসে এসেছে তাই এ বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। 

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী আসলে এনএসআইয়ের কেউ না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাস করে। সপ্তাহ খানেক আগে সহপাঠীদের সন্দেহ হলে তারা বিভাগের চেয়ারপারসনের কাছে বিষয়টি জানালে বুধবার তাকে চেয়ারপার্সনের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সে নিজেকে এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয় দেয়।

এ বিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।