জাবির সিনেট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ১৪ দফা ইশতেহার 

জাবি
জাবির সিনেট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ১৪ দফা ইশতেহার   © সংগৃহীত

আগামী ১৬ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের (জাবি) সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ সমর্থিত প্যানেল।

১১ অক্টোবর (বুধবার) বিকাল ৪ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে ইশতেহার পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সেলেন্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়ন করা গুণগত মানবৃদ্ধি প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা, বহিঃবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জ্ঞান-বিনিময় ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ সৃষ্টি করার জন্য এ ইশতেহার বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

ইশতেহারে বলা হয়, বার্ষিক বাজেট ও রিপোর্ট অনুমোদন ছাড়াও সিনেটের মাধ্যমে  প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বিশেষায়িত সিনেট ভবন নির্মাণ এবং ভবনে সিনেটরদের জন্য ওয়ার্কিং স্পেস তৈরি,  প্রতিবছর বার্ষিক সিনেট সভায় ‘সেরা গবেষক’ পুরুস্কারের ব্যবস্থা করা, বিধি-বিধান অনুসরণ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, প্রাতিষ্ঠানিক এবং জীববৈচিত্র্যকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ, শিক্ষকদের শিক্ষা ও উপকরণভাতা ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

ইশতেহারে আরো বলা হয়,  এ প্যানেল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আধুনিক কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন ও বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতির মানোন্নয়নের জন্য নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কারের করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চ শিক্ষা, স্মার্ট ক্লাসরুম, স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরি, শিক্ষা-গবেষণার আধুনিকীকরণের , পর্যায়ক্রমে সর্বস্তরে ডি-নথি ও আধুনিক সেবা প্রচলনের মাধ্যমে পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা ও গবেষণার প্রণোদনা বৃদ্ধির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও তহবিল গঠন , স্বল্পতম সময়ে অস্থায়ী শিক্ষকগণের চাকুরী স্থায়ীকরণ এবং পদের স্বল্পতা থাকলে জরুরি ভিত্তিতে পদ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করার ও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈশ্বিক মানদণ্ড নিশ্চিত করার উদ্যোগ করা হবে। 

এছাড়াও গবেষণা ভাতা বৃদ্ধিকরণ, মানসম্পন্ন জার্নালে লেখা প্রকাশ ও বিদেশে অনুষ্ঠাতব্য সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, উচ্চশিক্ষায় ৭ বছর শিক্ষা ছুটি বিরতিহীনভাবে সময় সমন্বয় করা যাতে এই সময়সীমার মধ্যে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করে পোস্ট ডক্টরাল স্টাডি করতে পারেন, শিক্ষকগণের মধ্যে ল্যাপটপ এবং মানসম্পন্ন আসবাবপত্র দিয়ে ব্যক্তিগত অফিস কক্ষ সাজানো, নবীন শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ওভারসিজ ফেলোশিপ’ এবং ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফেলোশিপ’ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ; এবং স্নাতক পর্যায়ে বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণও  প্রয়োজনে আলাদা বিদেশি শিক্ষার্থী সেল বা দপ্তর খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ইশতেহারে উলেখ করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদেও মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ এ মামুন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদেও ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা, জীববিজ্ঞান অনুষদেও ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক নূহু আলম ,অধ্যাপক আলমগীর কবির ও অধ্যাপক আব্দুল্লা হেল কাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
উল্লেখ্য, প্রতি ৩ বছরে সিনেট নির্বাচনের নিয়ম থাকলেও সর্বশেষ ২০১৫ সালে সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।