জবির অর্ধশত শিক্ষার্থীর সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ

বাংলাদেশ পুলিশের ৩৯তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর  ২০২১ ব্যাচের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় অর্ধশত সাবেক শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক প্রতিষ্ঠান, শতবর্ষ অতিক্রান্তি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি রাজশাহীর সারদায় বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর ) সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ হয়।

মৌলিক প্রশিক্ষণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে অংশগ্রহণ করলেও প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছে পঞ্চাশের অধিক সাবেক শিক্ষার্থী। প্রশিক্ষণের সমাপনী প্যারেডে ৫১ জন নারীসহ ৭৬১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী, নব্য সাব ইন্সপেক্টর শেখ ফরহাদ আহমাদ ফুরাদ জানান, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি আমার প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সেই সাথে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখবো।

জবির ২০১২-১৩ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, আমাদের অভিভাবক আইজিপি মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ হয়ে উঠবে স্মার্ট পুলিশ। আর নিজের মানবিক মূল্যবোধ, দক্ষতা, পেশাদারিত্বকে কাজে লাগিয়ে জনগণের পুলিশ হয়ে উঠতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মিয়া জানান, ছাত্র অবস্থায় জগন্নাথের উন্মুক্ত লাইব্রেরীতে নিয়েছি এক প্রশিক্ষণ, 'হোম অব পুলিশ' খ্যাত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে সম্পূর্ণ করলাম আরেক প্রশিক্ষণ। মাঠ  পর্যায়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বাস্তব জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাই। 

৩৯তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ২০২১ ব্যাচের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি সহ উচ্চপদস্থ  কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের ৩৮তম ক্যাডেট এস‌আই পদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬ জন, ৩৭তময় ১৪৮ জন এবং ৩৬তময় ১১১ জন সাবেক শিক্ষার্থী নিয়োগ পেয়েছিলেন।