যবিপ্রবিতে বিরোধী কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা, শিক্ষার্থীসহ আহত ৫

যবিপ্রবি
কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী  © বাংলাদেশ মোমেন্টস

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিরোধী পক্ষের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মামুন সিমন। মারধর দেখে এক শিক্ষার্থী এগিয়ে গেলে তাঁকে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় আরো তিন জন আহত হয়। আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করেছে যবিপ্রবি প্রশাসন। 

জানা যায়, দুপুর ১ টায় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শিহাব ও এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মৌলবাদ বিরোধী একটি মিছিল শুরু হয়। এতে অংশ নেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মামুন সিমন, শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শেষে আনুমানিক ৩ টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মামুন সিমনসহ নেতাকর্মীরা হলে যাওয়ার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। এসময় আল মামুন সিমনকে মারধর করে তাঁরা। সাধারণ এক শিক্ষার্থী তা দেখে মোবাইল বের করলে ঐ শিক্ষার্থীকেও মারধর করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে সিমন ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ ও শিহাব। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতা সিমন ও ঐ শিক্ষার্থীর হাতে, পিঠে ও পায়ে মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়। 

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিমন বলেন, মৌলবাদ বিরোধী একটি মিছিল ও সমাবেশ করেছি আজ।যবিপ্রবিতে আমার অনার্স শেষ হয়েছে, সামনে মাস্টার্স ভর্তি হবো। অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে এসেছি। মিছিল করার পরে হলের দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎই সভাপতি সোহেল রানা ও সম্পাদক তানভির ফয়সালের অনুসারীরা হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। সবগুলোই পরিচিত মুখ কিন্তু এখন আমার কারো নাম মনে পড়ছে না, খুব অসুস্থ লাগছে।

মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী বলেন, আমি দেখলাম একটা ছেলেকে অনেক লোক মিলে মারছে। আশেপাশে এতগুলো লোক কেউ প্রতিবাদ করছেনা, তারপর আমি পকেট থেকে মোবাইল করা মাত্রই সবাই আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। বড় ডান্ডা দিয়ে আমার হাত, মাথা ও পিঠে অনেক বাড়ি দিছে। ঐ শিক্ষার্থী আরো জানান, আমি ওদের বলি ভাই আপনারা আমার ফোন চেক করেন, ভিডিও করিনি আমি। আমার কোনো কথা না শুনেই বেলাল ভাই সহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আমাকে মারতে শুরু করে।