বিএনপি-জামায়াত অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসতে চায়: অধ্যাপক মাকসুদ কামাল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৯ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৯ PM

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনকে ঠেকাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে অগণতান্ত্রিকভাবে বিদেশি প্রভুর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তারা লাভবান হতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে গত ২৮ অক্টোবর দেশব্যাপী বিএনপির ‘সংঘটিত’ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৭ম নৌবহর পাঠিয়েছিল তারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তাছাড়া, জামায়াতের কথা শুনলেই তাদের একাত্তরের ভূমিকার বিষয় সামনে আসে। ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। তাদের উচিত ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
মানববন্ধন শিক্ষক নেতারা বিএনপিকে ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ২৮ তারিখে কর্মসূচি ও মহাসমাবেশের নামে যে সহিংসতা করেছে আমরা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তার প্রতিবাদ জানাই। তারা সমাবেশের নামে হাসপাতাল, এম্বুল্যান্স, দায়িত্বরত পলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিএনপি ধরে নিয়েছে তাদেরকে আমেরিকা ও ইউরোপীয় শক্তি ক্ষমতায় আনবে। প্রথম আলো ও ভোরের কগজকে দেয়া পিটার হাসের বক্তব্যই প্রমাণ করে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করেছে। তাছাড়া বিএনপির জন্মই হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে। তাই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম দ্বারা গণতন্ত্র কায়েম করতে চায়। তাদের এসব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ মেনে নিবে না।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে আল্টিমেটাম দিয়ে বিএনপি দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে। একজন পুলিশকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। তারা দেশে আগুন সন্ত্রাস এবং হত্যার রাজনীতি আবার ফিরিয়ে এনেছে। তাদের সন্ত্রাস, হত্যা ও নৈরাজ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নিবে না।
উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির এ আয়োজনে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের এই ঘটনাগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ২০১৩-২০১৪ সালের ঘটনা। এটি পুনরায় হতে যাচ্ছে কিনা ভেবে আমরা আতঙ্কিত।’ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন হবে এটাই আমরা চাই।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফার্মেসী অনুষদের ডীন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, গণিত বিভাগের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান. অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।