শিক্ষক নিবন্ধনের নীতিমালা সংশোধন চায় ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১০ PM , আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১০ PM
এনটিআরসিএ কর্তৃক ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রভাষক, সহকারী মৌলভী, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদসমূহ থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংশোধিত নীতিমালা পুনঃবিজ্ঞপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ প্রণীত ‘অন্যায্য’ এমপিও নীতিমালা এবং এনটিআরসিএ প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবিসহ সকল স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের পাঠ্যসূচি এবং স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের পাঠ্যসূচি একই এবং সমৃদ্ধ। এছাড়াও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে ফাজিল / কামিল বিষয় বা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসা সমূহ হতে ফাজিল / কামিল বিষয়ের পাঠ্যসূচি একই হওয়া সত্ত্বেও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে এ সকল পদসমূহ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাকোত্তোর সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাদ্রাসায় প্রভাষক, অফিস সহকারীসহ অন্যান্য পদগুলোতে আবেদন করতে পারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এনটিআরসিএ একটি নীতিমালা প্রবর্তন করে যেখানে সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের তাদের যৌক্তিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য মাদ্রাসার প্রভাষক, অফিস সহকারী, লাইব্রেরিয়ানসহ অন্যান্য পদগুলোতে আবেদন করার সুযোগই রাখা হয়নি।
জুবায়ের বলেন, মজার ব্যাপার হলো সেখানে (নীতিমালা ) আরবি বিভাগ বা ইসলামি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের সুযোগ বহাল থাকছে। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্য থাকার সুবাদে মাদ্রাসাগুলোতে অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। তাই আমরা এই অবিচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরেক শিক্ষার্থী মেসবাহ উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করে এই পদগুলোতে আবেদন করতে পারলেও, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে অনার্স, মাস্টর্স করে আমরা আবেদন করতে পারবো না। মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক পদটির নাম আরবী শিক্ষক হলেও তাদেরকে যা পড়াতে হয় তার ৯০ শতাংশ আমাদের ইসলামিক স্টাডিজের সিলেবাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে আমাদের দাবিটি মেনে নেয়া হোক অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।