বশেমুরবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

বশেমুরবিপ্রবি
  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পিঠা উৎসব-১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক এই আয়োজন করা হয়। এবারের পিঠা উৎসবের স্লোগান ছিল "বাংলার শীত জমবে স্বাদে, পিঠাপুলির মহোৎসবে"। মঙ্গলবার (১২ই ডিসেম্বর) সকালে পিঠা উৎসব উপলক্ষে র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড একিউএম মাহবুব। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ট্রেজারার  অধ্যাপক ড. মোবারক হোসেন, রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান, প্রক্টর ড মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সভাপতি ড আব্দুর রহমান সাগর ও অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।  

পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছিল রকমারি নকশা ও বৈচিত্র্যময় পিঠার দোকান। এবারের পিঠা উৎসবে মোট ১৭টি দোকান বসে। এসব দোকানে বাহারি পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্টলে স্টলে বিভিন্ন রকম পিঠার পাশাপাশি আকর্ষণীয় ছিল চুলা থেকে নামানো গরম ভাপা পিঠা। দেখা যায় উড়ছে গরম ধোঁয়া,ষ ডুবু তেলে তৈরি হচ্ছে পিঠা। স্টলগুলোতে ছিল পাটিসাপটা, ঝাল পিঠা, মালাই পিঠা, হৃদয় হরণ পিঠা, কাপল পিঠা, প্রেম পিঠা, পুডিং, দুধ চিৎই, পায়েস,  ছাঁচ পিঠা, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, দুধরাজ পিঠাসহ বাহারি রকমের পিঠা।

সকাল থেকেই পিঠা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বিভিন্ন স্টল ঘুরে তারা নিজেদের পছন্দের পিঠা খান এবং প্রিয় মানুষকে খাওয়ান। এদিন ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। বিকালে উপাচার্য বিভিন্ন স্টল ঘুরে পিঠা খান। পিঠার গুণগত মান, দাম, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠা উৎসব নিয়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি ড. আব্দুর রহমান সাগর বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির সংস্কৃতি, প্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম-গঞ্জে এই উৎসব হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাংলা বিভাগে প্রতিবছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের পাশাপাশি দিনটি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এবার ৬টি ব্যাচ থেকে ১২টি সহ মোট ১৭টি স্টল করা হয়েছে। প্রায় ৫০-৬০ রকমের পিঠা বানানো হয়েছে। 

এছাড়াও ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে তিনি আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং পিঠা উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছরই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।