অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ের অন্যতম খেলোয়াড় শিবলি জাবি শিক্ষার্থী

জাবি
  © সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সে জয়ের অংশ হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শিবলি। ম্যাচ শেষে তিনি প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল ও প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের প্রথম পর্বের পরীক্ষার্থী শিবলী। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা মোবারকের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।

পুরো সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন আশিকুর রহমান শিবলি। দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংস। জাপানের বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ৫৫ এবং আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস।

২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ২৫ রান (অপরাজিত) করেন ধ্রুব পারাসার। অক্ষত রাই করেন ১১ রান। আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওপেনার শিবলি খেলেছেন ১২৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস।

শিবলির এ পারফরম্যান্স এ গর্বিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা মোবারক বলেন, ‘এই অর্জন আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের। আমাদের বিভাগ নতুন হওয়ায় যদিও আমরা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সরঞ্জামাদিসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যাপ্তভাবে দিতে পারি না তবুও ওরা খেলাধুলায় অনেক ভালো করছে। আমি শিবলির এই অর্জনে অনেক আনন্দিত। আশা করছি পরবর্তীতে আমরা খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুবিধাদি দিতে পারব যা ওদের নিজেদের মতো করে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ পরবর্তী সময়েও আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অর্জন অটুট থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

এদিকে আশিকুর রহমান শিবলি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখানে দেশের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারছি সেটা অবশ্যই আনন্দের ব্যাপার। দেশবাসীসহ জাবির সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ধন্যবাদ তারা আমাকে স্মরণে রেখেছেন। সামনে অবশ্যই আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে।’


মন্তব্য