মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাবি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সংবর্ধনা

ক্যাম্পাস
  © টিবিএম ফটো

মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলামকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ২২৬ নং রুমে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সমিতির সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে মো. মাসুম বিল্লাহ'র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা. মিম আক্তার। এসময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সমিতির সভাপতি সোহেল রানা ও সম্পাদক সোহান হোসেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাবি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির প্রথম লগ্ন থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর স্থানীয়রা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন। চারিদিক থেকে রাজনীতিবীদদের চাপ থাকবে। তারা চাকরী দেওয়ার জন্য বারংবার চাপ দিবে। কঠোর প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে রবিউলকে আগাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যোগ্য, মেধাবী ও জ্ঞানী ব্যক্তি অধ্যাপক রবিউল। তাঁর যোগ্য স্থানই সে অর্জন করেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো সে তাঁর যোগ্যতার কতটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাছে ব্যয় করতে পারবেন।  

গোটা সমাজ এখন রাজনীতিবীদদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আগে রাজনীতিবীদরা শিক্ষকদের কাছে পরামর্শের জন্য আসতেন এখন শিক্ষকরা রাজনীতিবীদদের কাছে যেতে হয়। পদের জন্য আমরা লেজুর বৃত্তি করছি। যা শিক্ষকদের যোগ্য সম্মান কেঁড়ে নিচ্ছে।

মুজিবনগরের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে এখানে সরকারে যথেষ্ট সহযোগিতা করা উচিত। যদি তা না করা হয় তবে এ জায়গারও অবমূল্যায়ন করা হবে।

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ জেলার প্রতি আমার অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা। আমার জন্ম, আমার বেড়ে ওঠা আমার সবকিছুই ঝিনাইদহে। আমি এ মাটির প্রতি চিরঋণী থাকব। আমার পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা অর্জন, আমাকে বড় করে গড়ে তুলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
 
তিনি আরও বলেন, আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চরমভাবে লোকালদের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। রাজনীতিবীদদের সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে। একজন আমার জন্য দরজা খুললে আরেকজন বন্ধ করে দেবে এটাও আমি মানি। আমার জন্য এটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আমি চেষ্টা করব সন্তানের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আগলে রাখতে।

আমি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিচ্ছি। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। আমি আশাবাদী ভালো কিছু করতে পারব। 

সমিতির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, অধ্যাপক রবিউল স্যার আমাদের জন্য সবসময় নিজের দরজা খোলা রেখেছেন। তাঁর থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি আমাদের জন্য আগামীতেও এভাবে পাশে থাকবেন বলে আশা রাখছি।

লিখন আহমেদের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক দুলাল চন্দ্রবিশ্বাস, অধ্যাপক সোলায়মান চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহান হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ