জবিতে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

ক্যাম্পাস
আনন্দ উচ্ছ্বাসে কেক কেটে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন  © টিবিএম ফটো

আনন্দ উচ্ছ্বাসে কেক কেটে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ সহ কেক কাটে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনটি উদযাপন করেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেনের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে কেক কেটে আনন্দ উৎসব করে নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলকে কেক খাওয়ান। এসময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম জন্মদিনে আমরা ছাত্রলীগ পরিবার আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত এবং পুলকিত। ১৯৪৮ সালের পর থেকে দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করবে, এটাই আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘ভোট উৎসবের জন্য’, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য’, ‘শেখ হাসিনার জন্য’, ‘নৌকার জন্য’ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি। তারুণ্যের গণরায় নিয়ে গণমানুষের ভাগ্যবদলের জন্য, উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারুণ্যের গণজোয়ারে সকল অপশক্তি ভেসে যাবে, নৌকার জয় হবে, বাংলাদেশের জনগণের জয় হবে।

বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের এই ছাত্রসংগঠনটি   দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, আটান্নর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফার পক্ষে গণ-অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।